আন্তর্জাতিক

ইসলামাবাদে ‘স্ক্যাম সেন্টারে’ পুলিশি অভিযানের পর লুটপাট, ভাইরাল ভিডিও

Looting after police raid on 'scam center' in Islamabad, viral video

Truth Of Bengal: কল সেন্টারে চলত অবৈধ কার্যকলাপ। অভিযান চালায় ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এবং গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রেফতার করা হয় সংস্থার কর্মীদের। এরপরেই ওই সেন্টারে চলে লুটপাট। ইসলামাবাদের সেক্টর এফ-১১-এ একটি ‘স্ক্যাম সেন্টার’ -এ সেই লুটের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই সেক্টরে ঢুকে প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম লুট করছে। এরপরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

দ্য নেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ, শনিবার এফআইএ-এর সাইবার ক্রাইম সেল আন্তর্জাতিক জালিয়াতির অভিযোগে একটি কল সেন্টারে অভিযান চালায়। এ সময় ২৪ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের কয়েকজন বিদেশী নাগরিকও রয়েছেন। তবে, অভিযানের সময় কিছু সন্দেহভাজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এফআইএ সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটি বেশ কিছুদিন ধরে এই কল সেন্টারের অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত ছিল। তবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় অভিযান চালাতে দেরি হয়। এই কল সেন্টার থেকে পাকিস্তানি কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

অভিযানের পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। নিরাপত্তার ঘাটতির কারণে স্থানীয়রা ভবনে ঢুকে মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে, যা তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষিত হওয়া উচিত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, লুটকারীরা কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত ডিভাইস নিয়ে পালাচ্ছে, এবং ভবনের বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে।

এমনকি কিছু বিদেশীকেও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এফআইএ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে অভিযানে বিদেশী নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, তবে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

অভিযানের পরপরই লুটপাটের সুযোগ পাওয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। তদন্তের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য এফআইএ-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংস্থাটি এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

Related Articles