
The Truth of Bengal: বয়স নিয়ে মজা করা হয়তো অনেকেই পছন্দ করবেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্য কেউ করুক আর না করুক, তিনি নিজেই নিজের বয়স নিয়ে ক্রমাগত কৌতুক করে চলেছেন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হয়েও বাইডেন যখন ফের নির্বাচনে লড়ার আশা করছেন, তখন ভোটারদের মধ্যে তার বয়স নিয়ে উদ্বেগ দূর করতে এই প্রচেষ্টা অস্বাভাবিক নয়। গত সোমবার ৮১ বছরে পা দিয়েছেন জো বাইডেন। তবে সোমবার তাঁর জন্মদিনে, কোনও আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি হোয়াইট হাউস।
প্রকাশ্যে কেক কাটাও হয়নি। যা দেখে নিন্দুকেরা প্রশ্ন তুলছেন, আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কি বয়স ‘লুকোতে’ চাইছেন বাইডেন? এখনই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি যদি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন এবং চার বছরের পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করেন, তাহলে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার সময় তার বয়স হবে ৮৬ বছর। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার জনসম্মুখে সিঁড়িতে হোঁচট, পা পিছলে পড়ে যাওয়া কিংবা কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন জো বাইডেন। এ নিয়ে কখনো কখনো মজাও করেছেন তিনি।
এ দেশের আইন অনুযায়ী, আমেরিকার কোনও পদে নির্বাচিত হতে গেলে বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকদের মধ্যেও, বাইডেনের বয়স চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, তাঁর সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে বাইডেন। সমীক্ষা বিশ্লেষণ করলে বেরিয়ে আসছে আর একটি ছবি। ২০২০-র নির্বাচনে অনূর্ধ্ব তিরিশের ভোটারদের বেশির ভাগ বাইডেনকেই ভোট দিয়েছিলেন। এই বয়সি ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের থেকে বাইডেন এগিয়েছিলেন ২৬ পয়েন্টে।
Free Access