জেলমুক্তি আরও জটিল! হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় প্রভুকে জেলে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
Jail release more complicated! Chinmoy Prabhu ordered to be interrogated in jail in murder and sedition cases

Truth Of Bengal: চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ড এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তদন্তে জেলবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, তদন্তকারীরা তাঁকে দু’দিন ধরে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মহম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, “চিন্ময় প্রভুকে পৃথকভাবে দুই মামলার জন্য জেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি আছেন। একসময় তিনি ইসকনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন, তবে এখন তিনি সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা শাখা। পরদিন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাঁকে আদালতে তোলা হলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ইসকন ভক্তরা বিক্ষোভ শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সেইদিন বিকেলে আদালতের পাশে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
এই ঘটনার জেরে সাইফুলের বাবা জামালউদ্দিন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয় পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে।
পুলিশের দাবি, এসব মামলার তদন্তে চিন্ময় দাসের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে এসব মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ফলে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেলেও, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের পরিচিত এই ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের এখনই মুক্তির সম্ভাবনা নেই।