ফেসবুক অ্যাকাউন্ট,ভুয়ো নাম,রোমান্টিক কথাবার্তাঃকিভাবে পাকিস্তানি চর ভারতীর প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের ফাঁদে ফেলে জানেন কী ?
How Pakistani Spies Targetted Indian Defence Officials

The Truth of Bengal: ভারত বরাবরই পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে।তবুও পাকিস্তান সরকার নানাভাবে ভারতের ক্ষতি করতে চায়।কখনও তথ্য চুরি করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়,কখনও আবার নাশকতার ছক কষে।ইসলামাবাদের সেই দুষ্ট চক্রকে দমন করতে ভারত বরাবরই নজর রাখে।এরমাঝে এক চোখ খুলে দেওয়া ঘটনা সামনে এল।দেখা গেছে,এক পাকিস্তানি চর,মধুচক্রের জাল বিস্তার করতে চায়।সে নিজেকে সেজাল নামে পরিচয় দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের ফাঁদে ফেলতে রোমান্টিক গল্প তৈরি করে।এই ঘটনা শুধু একটি নয়,নাম ভাঁড়িয়ে ভারতীয় সামরিক কর্তা বা প্রতিরক্ষার অফিসারদের কব্জা করার দুষ্টকর্ম আগেও দেখা গেছে।এই দেশবিরোধী কাজের ঘটনা আরও স্পষ্ট হয়,যখন নিশ আগরওয়াল নামে ব্রাক্ষ্মোস এয়ারস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের এক প্রাক্তন বিজ্ঞানী ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস করেন।যার জন্য তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
কিভাবে এই ফন্দিবাজরা ফাঁদে ফেলেন জানেন ?
ভারতীয় সংস্থার তথ্য বলছে,কখনও তাঁরা ভারতীয় মেয়েদের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে কখনও আবার ভুয়ো নাম দিয়ে প্ররোচিত করেন। যেমন সেই নামটা হতে পারে সেজল কাপুর,আরোহী অলোক,অদিতি আগরওয়াল,অনামিকা শর্মা,দিভ্যা চন্দন রায়,নেহা শর্মা,পূজা রঞ্জন।এরমধ্যে নিশান্ত আগরওয়াল যাকে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা গ্রেফতার করে,২০১৮-র অক্টোবরে।এবছরের জুনে নাগপুরের একটি আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন দেয়। এই বিচারের সময় প্রকাশ্যে আসে যে,অভিযুক্ত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেই পুরো জালিয়াতি চক্র চালায়।পঙ্কোজ আওয়াস্তি নামে উঃপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিক জানান,পাকিস্তানী চরেরা মহিলাদের নাম নিয়ে মনের কথা বলতে বলতে দেশের তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।এমনকি সেই পাক চক্র সাইবার আক্রমণের কৌশলও নেয় বলে জানা যায়।
কিভাবে এই চক্র অপারেশন চালায় ?
এবিষয়ে আরও জানা গেছে,ব্রিটেনের একটি কোম্পানির তরফ থেকে পরিচয় তুলে ধরে যোগাযোগ করা হয় প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে। সেজাল আগরওয়ালের সঙ্গে পরিচয় তৈরি করে।তারপর বিমানবাহিনীর কর্মী থেকে নানা ব্যক্তিত্বকে সে ছাত্র পরিচয় দেয়।এই সামগ্রিক প্রতারণার জন্য লিঙ্কডিনকেও ব্যবহার করে চোরাচক্র।সেজাল আগরওয়ালকে লিঙ্ক পাঠিয়ে ৩টি অ্যাপ ইনস্টল করতে বলে।সেই অ্যাপগুলো হল চ্যাট টু হায়ার,এক্স ট্রাস্ট।এইসব অ্যাপ আসলে ম্যালওয়ার।যার মাধ্যমে পাকিস্তানি চক্র অনেক তথ্য হাতানোর ফন্দি করে। সেজাল অমৃতসরের এক বিমানবিহানীর কর্তাকেও এইভাবে ঠকায় বলে জানা গেছে।তাই আওয়াস্তির গ্রেফতারি অনেক কিছু রক্ষা করে।দেশের স্বার্থে এই ধরণের পাক চক্রের শিকড়ে আঘাত করার জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পাল্টা ঘুঁটি সাজাচ্ছে।সাধারণ মানুষের মতোই প্রতিরক্ষা কর্তারাও সজাগ হওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।