‘বড় সুন্দর বিল’ নয়, বড় জঘন্য খরচ! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের মুখ খুললেন ইলন মাস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বড় সুন্দর বিল’ নিয়ে ফের সমালোচনা করলেন অন্যতম ধনকুবের এলন মাস্কের সঙ্গে। সরকারি দক্ষতা সংক্রান্ত দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে মাস্কের ইস্তফার নেপথ্যে যে ট্রাম্পের এই নতুন আইন, তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল মঙ্গলবারের প্রকাশ্য বাগ্‌বিতণ্ডায়। বিতর্কিত এই আইনের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ খুলেছেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান। মাস্ক তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘ এই বিলের জন্য যে বিপুল পরিমাণ খরচ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।

যাঁরা এই আইনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের লজ্জিত হওয়া উচিত।’ সেইসঙ্গে  পরবর্তী একটি পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, ‘ এই বিল মার্কিন ঘাটতি বাড়াবে এবং দেশকে দেউলিয়া করে তুলতে পারে।’ বলা বাহুল্য,  ইলন মাস্ক সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম নেননি, তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা— কংগ্রেসকে নিশানা করলেও পরোক্ষভাবে তিনি ট্রাম্পকেই আক্রমণ করেছেন। মাস্কের অভিযোগে সাড়া দিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ‘ এই ধরনের মন্তব্যে প্রেসিডেন্টের মতামতে কোনও পরিবর্তন আসবে না। প্রেসিডেন্ট জানেন, মাস্ক এই বিলের ঘোরতর বিরোধী। তবুও তিনি তাঁর অবস্থানে অটল।’

উল্লেখ্য, ১,১১৬ পাতার ‘বড় সুন্দর বিল’- আইনে মূল জোর দেওয়া হয়েছে কর কাঠামোর উপর। বিশেষ করে মার্কিন নাগরিক নন, এমন বাসিন্দাদের উপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এই আইন।বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, মার্কিন নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিরা যদি আমেরিকায় উপার্জিত টাকা নিজের দেশে পাঠাতে চান, তবে তার উপর পাঁচ শতাংশ কর চাপানো হবে। করের ব্যাপারে কোনও ছাড় সীমার কথা উল্লেখ করা হয়নি। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বলা বাহুল্য, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প কুর্সিতে বসার পর মাস্ককে বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। শুধু তাই নয়  তাঁর জন্য পৃথক দফতর গঠন করেছিলেন হোয়াইট হাউস। সেই দফতর থেকেই পদত্যাগ করেছেন ইলন মাস্ক। এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়ালেন মাস্ক।