Ebrahim Raisi: “পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে..”- রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইরান
Ebrahim Raisi: Iran Releases Probe Report On President's Death

The Truth Of Bengal: ইরানের রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যুর খবরে ক্রমশ জটিলতা যেখানে বেড়ে চলেছিল সেখানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সাম্প্রতিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এদিন প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঠিক কি কারনে এদিন ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যু হয়েছে সে নিয়ে কোনও প্রকার জটিলতা তুলে ধরতে দেখা যাইনি এই প্রতিবেদনে।

এদিন প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, হেলিকপ্টারটি তার পূর্বনির্ধারিত গতিপথেই এগোচ্ছিল এবং ফ্লাইট রুট থেকে বিচ্যুত হয়নি। সঙ্গে তিনি এদিন এও বলেন যে, ওয়াচটাওয়ার এবং ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে কথোপকথনেও কোনও প্রকারের সন্দেহজনক আচরণ শনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়াও পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হেলিকপ্টার’টি থেকে কোনও প্রকারের বুলেট কিংবা আক্রমণ চালানো হয়েছিল এরকম কোনও তথ্য বা চিহ্নও খুঁজে পাওয়া যায়নি এদিন, যে সন্দেহ জোরালো হবে তদন্তকারীদের।

Xinhua সংবাদ সংস্থা থেকে এইদিনের তদন্তের প্রতিবেদনটিকে তুলে ধরা হয়েছে ইতিমধ্যেই। যেখানে প্রথম থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছিলো যে রাষ্ট্রপতি রাইসি’কে চক্রান্ত করে হত্যা করা হয়েছে। সেখানেই এখন জানানো হয় যে, পাহাড়ে ধাক্কা লাগার পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায় এবং সেই কারণেই মৃত্যু হয় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সফরসঙ্গীদের। এরপর ঘটনাস্থলে “আঞ্চলিক কিছু জটিলতা, সঙ্গে কুয়াশা এবং নিম্ন তাপমাত্রা” উদ্ধার অভিযানে কিছুটা অসুবিধার সৃষ্টি করে। এরপর তাঁরা বলেন যে, “সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায়, ড্রোনের সহায়তায়, ঘটনার সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করা হয়।” তাছাড়াও এই বিষয়টিকে নিয়ে পরে আরও তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এবং তাঁরা জানান যে, সম্পূর্ণ তদন্তের পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।

রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট। এবং সেখান থেকে ফেরাবার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এদিন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি। এদিন তিনি ছাড়াও হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম। বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে রাইসির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। সূত্রের খবর ইমাম রেজা মাজারটি নয়’শতাব্দীর ইমাম আলী আল-রেজার বিশ্রামস্থল হিসাবে সম্মানিত। সঙ্গে সেখানেই প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ও বেড়ে ওঠা। রাইসিকে এদিন শেষ বিদায় জানাতে ৬৮ দেশের প্রতিনিধি এসেছিলেন। সঙ্গে প্রিয় নেতাকে একবার শেষ বারের জন্য দেখতে ভিড় জমান শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লক্ষ লক্ষ মানুষ। শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় জানান প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে।