আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভের জের, হাসিনার পরে পদত্যাগ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির 

Due to the protests, the resignation of the Chief Justice of Bangladesh after Hasina

The Truth Of Bengal: প্রধানমন্ত্রীর পরে এবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করছেন। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন বলে জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বাংলাদেশে কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুলের মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূচনা হয়েছেলি। যার জেরে শেষমেশ পদত্যাগ করতে হলো ওবায়দুল হাসানকে।

শনিবার সকাল থেকে প্রধান বিচারপতি-সহ আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে চলে আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন যে , প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ না করলে বিচারপতিদের বাড়িতে যাবেন তাঁরা। এরপরেই বিচারপতিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচাপতি ওবায়দুল। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিকেলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন বলেও ঘোষণা করেন তিনি। ওবায়দুলের এই ঘোষণার পরেই আদালত চত্বর থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা। আপিল বিভাগের অন্য ৭ বিচারপতিরাও আজ পদত্যাগ করবেন বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত পদত্যাগের দাবি মেনেই পদত্যাগ করছেন বিচারপতিরা। জানা গিয়েছে, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শ ছাড়াই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছিলেন। এই খবর পেতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তথা অন্তর্বর্তী সরকারে শামিল সজীব ভুঁইয়া এবং আসিফ মহম্মদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, পরাজিত শক্তির কোনও রকম ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবেন না তাঁরা। কার্যত, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হয় শনিবার সকাল ১০টায়। সেইমতো এদিন সকালেই আদালতের বাইরে প্রধান বিচারপতি-সহ আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে ওঠে স্লোগান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগের কথা জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল।

কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুলের মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের দানা বাঁধে। শুনানিতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “রাস্তায় এত আন্দোলন কিসের? আন্দোলনকারীরা কি চাপ দিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?” এই মন্তব্যের পরেই ওবায়দুলকে ফ্যাসিবাদী সরকারের মদতপ্রাপ্ত এবং অপকর্মে শামিল বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা। সেই থেকেই জনরোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে , যা শনিবার প্রকাশিত হয়।  আন্দোলনে নামে পড়ুয়া-সহ অন্যান্য সাধারণ মানুষ। যার জেরে পদত্যাগ করছেন প্রধান বিচারপতি। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে ওবায়দুলকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে শপথগ্রহণ পূর্বক ওবায়দুল হাসান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আজ সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ওবায়দুল হাসান।

Related Articles