দাবানলে পুড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া,বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
Death toll rises as wildfires rage in South Korea

Truth Of Bengal: আগুনে পুড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির দক্ষিন অংশই এক ভয়ঙ্কর দাবানলের কবলে। ক্রমশই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। আবহাওয়ার অবস্থা শোচনীয় হওয়ার কারণেই আগুন নিিয়ন্ত্রনে আনা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে দমকল ও সেনাবাহিনীর। ইতিমধ্যেই এই বিধ্বংসী দাবানলের কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৮ জনের। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এমনকি ঐতিহাসিক মন্দির পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়েছে। সরকার এই দাবানলকে দক্ষিন কোরিয়ার ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর দাবানল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে জারি জরুরী অবস্থা।
আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল গত ২১ মার্চ। জানা যাচ্ছে রাজধানী সিওল থেকে ৩০০ মিটার দক্ষিনে অবস্থিত গিয়াংসাং প্রদেশের সানচেং-এ সেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। তখন থেকই পুড়ছে বিঘার পর বিঘা জমি। এরপরই ২২ মার্চ সেই দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, গিয়ংসাং প্রদেশের ইউইসিয়ং-এ, উলসান শহরের উলজু এলাকায় ও দক্ষিন গিয়ংসাং-এর গিমহেতেও। এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রনে আনতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছে সেনাবাহিনী ও দমকল, একইসঙ্গে প্রাথমিকভাবে বহু সাধারণ মানুষেও এই কাজে তাদের সাহায্য করেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্তপ্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গিয়েছে।এই আগুনের লেলিহান শিখার হাত থেকে রক্ষা পায়নি দেউংগুনসান পাহাড়ে উপস্থিত গৌনসা মন্দিরও। ৬৮১ খ্রীষ্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সময় আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছে প্রায় ৫ হাজার জন দমকলকর্মী। একইসঙ্গে পুলিশ ও সেনার প্রায় শতাধিক ইউনিটকে খাজে লাগানো হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও ৮৭ টি হেলেকপ্টারকে কাজে লাগিয়ে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হচ্ছে। তবে পরিবেশবিদদের মতে, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে এই দাবানল হয়ে থাকে প্রায়শই । তবে দাবানলের এই ভয়াবহতার সাক্ষী প্রথমবারের জন্য থাকল দক্ষিন কোরিয়া।