আন্তর্জাতিক

মাগুরাকাণ্ডের আবহে ৭ বছর পুরোনো ধর্ষণ-খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

Court sentences to death in 7-year-old rape-murder case amid Magura incident

Truth Of Bengal: বাংলাদেশে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন। নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘পর্নসাইট’। মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা চলছে। বাংলাদেশ জুড়ে বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে সবমহল। সেই আবহে ২০১৮ সালের একটি পুরোনো ধর্ষণ খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা করলো আদালত। মঙ্গলবার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ঘটনা। ঢাকার দোহার এক সবজি ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুনীর গলা কাটা দেহ। তদন্তে জানা যায়, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। মৃত কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করে। জানা যায়, তরুণী সবজি ক্ষেতে সবজি আনতে গিয়েছিল। ফেরার পথেই তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত। এরপর গলা কেটে খুন করে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মাগুরার ওই শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। চিকিৎসার মাঝেই জানা যায়, শিশুটি তার দিদির শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়। অভিযোগ, বোনের শ্বশুর, ভাসুর ও জামাইবাবু তাকে ধর্ষণ করে এবং তাকে গলা টিপে হত্যারও চেষ্টা চালায়। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়, কিন্তু অবশেষে চিকিৎসার পরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। চিকিৎসকরা সিপিআর দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ স্বাভাবিক থাকলেও দুপুরে ফের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে আর তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। দুপুর ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যায় নিজ গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়। শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত লিটু শেখ ও তার ছেলের বাড়িতে হামলা চালায়। শুক্রবার সকালেও তাদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্থানীয়রা ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়, এমনকি গাছপালা পর্যন্ত কেটে ফেলে। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Related Articles