ক্যান্সার আক্রান্ত না হয়েও কেমোথেরাপির প্রয়োগ! গাফিলতির জেরে দেখুন কি হল
Application of chemotherapy without cancer! See what happened due to negligence

The Truth Of Bengal: ২০২২ সালে পেটের ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন টেক্সাস এর এক নামকরা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা মনে করছিলেন যে বোধহয় কিডনিজনিত সমস্যার জেরেই তার এই ব্যাথা। কিংবা মহিলার কিডনিতে পাথর জমার জন্যই তাঁকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল যে তাঁর কিডনিতে দুটি পাথর রয়েছে। তারপর যথারীতি তাকে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে দুটি পাথরকেই অপারেশন করে বের করা হয়। এতক্ষণ সব ঠিকই ছিল কিন্তু জটিলতা তখনই বাড়তে থাকে যখন ভদ্রমহিলাকে তিনটি প্যাথোলজি পরীক্ষার জন্য যেতে বলা হয়। তিনি কখনোই অস্বীকার করেননি যদিও সেবিষয়টি’কে।
তবে চতুর্থবারের বেলায় তাকে আবারও পরীক্ষার জন্য যেতে বলা হলে, তাঁর সন্দেহ হয় এবং পরীক্ষায় উঠে আসে মিথ্যা রূপে এক ভয়ংকর সত্য। যেখানে বলা হয়, তার ক্যান্সার হয়েছে। সূত্রের খবর, তাকে বলা হয় যে তাঁর শরীরে এক বিরল এবং টার্মিনাল ফর্মের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। যার নাম ক্লীয়ার সেল এনজিওসারকোমা। এবং তাঁকে এও বলা হয় যে, তাঁর হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা (১৫) মাস। মহিলা ক্রমশ ভেঙে পরেন মানসিকভাবে। এবং ঠিক করা হয় তাকে কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। তারপর তাঁকে ২০২৩ এর মার্চ মাসে প্রথম রাউন্ডে কেমো দেওয়া হয়। যার কারণবশত ভদ্রমহিলার চুল পড়া শুরু করে দেয় এবং শরীর ফ্যাকাসে হতে থাকে। “এই সময়টা আমার কাছে একটা অন্ধকারের মতো ছিল। আমি চিঠি লিখে সবাইকে নিজের বিদায় বার্তা জানাচ্ছিলাম। আমার নাতি-নাতনিদের সহ যাদের সঙ্গে আমার আর কখনওই দেখা হবে না, যাদের বিয়েতে আমি থাকতে পারব না আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য, তাদের সকলকেই আমি চিঠি লিখছিলাম।” – বলেন সেই অসুস্থ মহিলা।
তবে এত সবের মধ্যেই তাকে বলা হয় যে, পূর্বে যে রিপোর্ট যা দেওয়া হয়েছিল তাকে এবং যার ভিত্তিতে এই চিকিৎসা, সেই রিপোর্ট’টি ভুল। “আমি লক্ষ্য করলাম আমার সঙ্গে হঠাৎই নার্স কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন!” – তিনি বললেন। কিন্তু এখানেই সব গাফিলতির শেষ হয় না, মহিলা এও দাবি করেছেন যে বাড়িতে প্যাথলজি রিপোর্ট দেখার পরে, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি এক মাস আগে তারিখ ছিল – মানে হাসপাতালের কাছে তার দ্বিতীয় রাউন্ড কেমোর আগে তথ্য ছিল।
“এই সময়ে আমি কেমোথেরাপি নিয়েছিলাম এবং তারা আমাকে এক মাস আগে বলতে পারত এবং আমি কেমোথেরাপির দ্বিতীয় রাউন্ড এড়াতে পারতাম যদি তারা তাদের নিজস্ব প্যাথলজি রিপোর্ট পড়তে বিরক্ত করত,” অভিযোগ করেছেন তিনি। সঙ্গেই তাঁর অভিযোগে তিনি আরও বলেন যে, “আমার ক্যান্সার হয়নি বলার পর, আমাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল এবং তারপর সমস্ত ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করার পরে এটি আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছিল যে এটি ক্যান্সার নয়। শেষ পর্যন্ত তারা নির্ধারণ করেছিল যে আমার প্লীহা ছিল। ফেটে যাচ্ছে যার কারণে এটির উপর ভর ছিল। এটি শুধুমাত্র রক্তনালীর কার্যকলাপ এবং এতে কোন ক্যান্সার নেই।” যা এই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমত বিষ্মিত গোটা বিশ্ব।