
The Truth of Bengal: ইজরায়েল ও হামাস যুদ্ধের আবহে বিশ্বের নানান প্রান্তে বহু দিন ধরেই চলছে বিক্ষোভ। বাদ যায়নি যুক্তরাজ্যও। ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে কয়েক লাখ মানুষ। তারা সকলে শ্লোগান দিতে থাকে ইজরায়েল থেকে গাজা কে মুক্ত করতে হবে । নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে ইজরায়েল কে। অনেকের মতে এই যুদ্ধ সত্তর দশকের ভিয়েতনাম যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ইহুদিরাও।হোয়াইট হাউসের সামনে কেবল মাত্র পড়ুয়া বা রাজনৈতিক কর্মকর্তারাই সামিল হননি।
হয়েছেন নানান পেশায় যুক্ত থাকা সাধারণ মানুষও। সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে বিদেশ দফতরের নানান কর্মী যুক্ত হয়ে বিক্ষোভ চালান। এমনকি কংগ্রেসে কর্মরত বিভিন্ন ব্যক্তিরাও যুক্ত হন এই বিক্ষোভে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের বহু কর্মকর্তাও এদিন এই বিক্ষোভে প্রতিবাদের সুর তোলেন। তাদের মতে তারা ভেবেছিলেন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে বাইডেন যে প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন বা একজন দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর যা কর্তব্য রয়েছে সেই সব কিছু রক্ষা করবে বাইডেন। কিন্তু তা মোটেই হচ্ছে না।
তাই এইসব কর্মকর্তা দেরও দাবি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র কে গোপনে ইজরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল ও গাজার যুদ্ধ এক মাস ছাড়িয়েছে। গাজা ভূখণ্ড ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চাইছে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত গাজায় মৃত্যু সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকায় শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গঠিত হওয়া সমাজসেবী ‘সেভ দা চিল্ড্রেন্স’ জানিয়েছেন ইজরায়েলের তীব্র আক্রমণে গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে মৃত্যু হচ্ছে ১ টি করে শিশু।