আন্তর্জাতিক

পারভেজ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ৩, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্তকরণ

3 arrested in Parvez murder case, identified through CCTV footage

Truth Of Bengal: রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন আল কামাল শেখ, আলভি হাসান জুনায়েদ এবং আল আমিন দানি। তাদের সকলের বয়স ১৯ বছর।

বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) একেএম মঈন উদ্দিন জানান, মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকা থেকে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান,”এফআইআর-এ তাদের নাম নেই, তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজেও অপরাধস্থলে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।”

জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বনানী থানা ইউনিটের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিও রয়েছেন। মামলা দায়ের করে মৃত পড়ুয়ার ভাই বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনি অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে, বনানী থানা ছাত্রলীগ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার এবং একই শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী। মেহেরাজ ইসলাম, আবু জাহর গিফারি ওরফে পিয়াশ, মাহাথির হাসান, রিফাত, আলী ও ফাহিম।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে নিহত জাহিদুল প্রাইম এশিয়ার গলিতে চা সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। ওই সময় সেখানে তিনজন মেয়েও ছিল। সেই মেয়েদের ইভটিজিং করা হয়েছে বলে দাবি করে তারা তাদের বন্ধুদের ফোন করেন।

পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসাও করে দেয়। কিন্তু এই ঘটনার প্রধান তিনজন মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী বিষয়টি অন্যদিকে মোড় ঘোরান। তারা হাজারীপাড়া এলাকার ছেলেদের নিয়ে আসেন এবং জাহিদুলের ওপর হামলা চালান। এসময় জাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে দৌড়ে আসার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা তাকে ধারালো অস্ত্র আঘাত করে তারা পালিয়ে যান। তবে এ ঘটনায় যারা জড়িত তারা সবাই প্রাইম এশিয়ার ছাত্র।

Related Articles