
The Truth of Bengal: গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে উপত্যকাটির শিশুরা। প্রায় চার মাস ধরে চলা হামলায় পুরো গাজাই তছনছ হয়েছে। উপত্যাকটিতে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। এতে সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট। এমন পরিস্থিতিতে গাজার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়ছে। সংঘাত শুরুর আগে গাজার পাঁচ লাখের বেশি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ।
বর্তমান পরিস্থিতে গাজার সব শিশুর সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। চলমান সংঘাতের সঙ্গে শিশুদের কোনো সম্বন্ধ নেই। তারপরও তারা যে দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে কোনো শিশুর থাকতে পারে না। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্য শিশুদের সনাক্ত করা ‘অত্যন্ত কঠিন’। কেননা তাদের আহত বা অচইতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এক্ষেত্রে অনেকে নিজের নামও বলতে পারে না। গাজার শিশুদের ক্রমাগত উদ্বেগ, খিদে না পাওয়া ও ঘুমাতে না পারার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তারা যখনই বোমা হামলার শব্দ শুনে তখন তারা মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”এখন পরিস্থিতি এমনটা দাঁড়িয়েছে যে, উপত্যকাটির প্রায় সকল শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন। যা সংখ্যায় ১০ লাখেরও অধিক। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। সেখান থেকে পণবন্দি করা হয় প্রায় ২৪০ জনকে। সেদিন থেকেই গাজায় চলছে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ হাজার ২৩৮ প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৫২ জন।