
Truth Of Bengal Desk: রঙের উৎসব হোলি আসন্ন। কিন্তু এদেশে আছে এমন ২টি জায়গা যেখানে রঙ নয় লাঠি মেরে মেরে খেলা হয় হোলি। এই অভিনব হোলি উদযাপনকে বলা হয় লাঠমার হোলি। লাঠি থেকে এসেছে লাঠমার শব্দ।
উত্তরপ্রদেশের মথুরার কাছে রয়েছে বারসানা আর নন্দগাঁও নামে ২টি গ্রাম। এখানেই প্রতি বছর মহাসমারোহে পালন করা হয় লাঠমার হোলি। এই বারসানা আর নন্দগাঁওয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শ্রীকৃষ্ণ আর শ্রীরাধিকার নাম।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বারসানা গ্রামে বাড়ি ছিল শ্রীরাধিকার। শ্রীকৃষ্ণ আর তাঁর সখারা খুবই উত্যক্ত করত শ্রীরাধিকা আর তাঁর সঙ্গিনীদের। তাই বদলা নিতেই বারসানার শ্রীরাধিকা আর তাঁর সঙ্গিনীরা হোলির দিন রঙ নয় লাঠি মেরে তাড়াতেন শ্রীকৃষ্ণ আর তাঁর দলবলকে। সেই প্রথাই চলে আসছে আজও। এখনো নন্দগাঁওয়ের ছেলেরা দলবদ্ধ ভাবে হানা দেয় বারসানা গ্রামে আর বারসানার মেয়েরা লাঠি মেরে তাড়ায়। মেয়েদের হাতে ধরা পড়লে নন্দগাঁওয়ের সেই ছেলের কপালে অনেক হেনস্তা জোটে। সেই ছেলেকে মেয়েদের মতো পোশাক পরে প্রকাশ্য রাস্তায় নাচতে গাইতে হয়।
এই বারসানাতেই রয়েছে দেশের একমাত্র শ্রীরাধিকার মন্দির। এক সপ্তাহ ধরে চলে লাঠমার হোলির উদযাপন এই বারসানা আর নন্দগাঁওতে। গোটা দেশের চেয়ে আলাদা করে রঙের উৎসব উদযাপন করা হয় ব্রজভূমে। বৃন্দাবনের বাঁকেবিহারী মন্দিরে রঙ নয় ফুল দিয়ে খেলা হয় হোলি। গোকুলের মেয়েরাও লাঠি মেরে ছেলেদের তাড়ায়। এখানে বলা হয় ছড়িমার হোলি।