দেশ

প্রেমিককেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, শেষে বাবার হাতেই মর্মান্তিক পরিণতি তরুণীর

The young woman wanted to marry her lover, but ended up tragically killed by her father

Truth Of Bengal: মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় মাত্র ২০ বছরের তরুণী তনু গুর্জরকে নিজের বাবার গুলিতে প্রাণ হারাতে হল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে, পুলিশের উপস্থিতিতেই।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তনু গুর্জর গোয়ালিয়রের গোলা কা মন্দির এলাকায় বসবাস করতেন। বিয়ের চার দিন আগে, মঙ্গলবার সকালে তনু একটি ৫২ সেকেন্ডের ভিডিয়োবার্তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভিকিকেই বিয়ে করতে চাই। আমার পরিবার প্রথমে রাজি হলেও এখন অস্বীকার করছে। তাঁরা আমাকে প্রতিদিন মারধর করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমার কিছু হলে দায়ী থাকবে আমার পরিবার।’’

ভিডিয়োটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ তনুর বাড়িতে যায়। এসপি ধর্মবীর সিংহের নেতৃত্বে পুলিশ দল উপস্থিত ছিল। তখন পরিবারের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যেই তনুর বাবা মহেশ গুর্জর এবং দাদা রাহুল তাঁকে ঘরের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানেই বাবা ও দাদা একসঙ্গে তনুকে গুলি করেন। তাঁর বুকে, কপালে এবং ঘাড়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

এরপর পিস্তল হাতে পুলিশের উপর চড়াও হন মহেশ ও রাহুল। মহেশকে গ্রেফতার করা গেলেও রাহুল পালিয়ে যান। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে। মহেশের কাছ থেকে পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কীভাবে এই অস্ত্র তাদের হাতে এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তদন্তে উঠে এসেছে, তনুর সঙ্গে ছয় বছর ধরে ভিকি মাওয়াই নামে আগরার এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তনুর পরিবার অন্য একজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিন স্থির করে ১৮ জানুয়ারি। তনু এই বিয়েতে আপত্তি জানালে নিজের বাবা ও দাদার হাতেই এমন মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হয়।

Related Articles