ঘুস-কাণ্ডে আর রেহাই নয়, জনপ্রতিনিধিদের রক্ষা কচব প্রত্যাহার, যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
The verdict of the Supreme Court to withdraw the protection of public representatives

The Truth Of Bengal : ঘুস কাণ্ডে অভিযুক্ত হলে এতদিন যে রক্ষাকবচ ছিল, তা এবার উঠে গেল। ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠলে আর রেহাই পাবেন না সাংসদ-বিধায়করা। সোমবার এমনই ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন রক্ষাকবচ পেতেন জনপ্রতিনিধিরা। এবার সেই রক্ষাকবচ উঠে গেল। ‘ভোটের বদলে নোট’ মামলায় কোনও সাংসদ অথবা বিধায়ক ঘুস নিয়েছেন এমন অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রক্ষাকবচ ছাড়া যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা যাবে। দুর্নীতি দমন আইনে নেওয়া যাবে ব্যবস্থা।
১৯৯৮ সালের একটি মামলার রায়কে বাতিল করে দিয়েই এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক যদি ঘুস নিতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে তারা আইনানুযায়ী শাস্তি থেকে সুরক্ষাকবচ পেতে পারেন না। দুর্নীতি দমন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
১৯৯৮ সালে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সাংসদ এবং বিধায়কদের অর্থ নিয়ে ভাষণ দেওয়া বা ভোট দেওয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। সোমবার সেই নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালের রায় ভারতীয় সংবিধানের ১০৫ এবং ১৯৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এই কারণ দেখিয়ে আগের রায় খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন থেকে সাংসদ বা বিধায়করা ঘুসের অভিযোগ থেকে আর ছাড় পাবেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে পদক্ষেপ করা যাবে।
গত বছর এই মামলায় দুইদিনের শুনানির পর রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। এ দিন শীর্ষ আদালতে তরফে ১৯৯৮ সালের ওই রায়কে বাতিল করে দিয়ে সাফ জানানো হয় সাংসদ-বিধায়করা ঘুষকাণ্ডে আইনি সুরক্ষাকবচ পাবেন না।
উচ্চ আদালতের এই রায়কে সমর্থন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট দুর্দান্ত রায় দিয়েছে। এর ফলে রাজনীতির পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি রাজনীতির প্রতি জনগণের বিশ্বাসও বাড়বে।’
FREE ACCESS