দেশ

আরও ভয়াবহ অসমের বন্যা পরিস্থিতি, ৩০ জেলায় ২৫ লক্ষের বেশি মানুষ দুর্গত

The flood situation in Assam is even worse, more than 25 lakh people are affected in 30 districts

The Truth of Bengal: অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ বন্যা দুর্গত হয়ে পড়েছেন। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ফলে বিপদ এখনও কাটেনি। অন্যদিকে একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। বহু দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতেই পারেনি। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে। বন্যা পরিস্থিতি যত ভয়াবহ হচ্ছে ততই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত কয়েকদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-এর উপর। বন্যা কবলিত রাজ্যের ৩০টি জেলা। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে অসমের বিভিন্ন গ্রামে। মানুষের মধ্যে বাঁচার লড়াই শুরু হয়েছে। ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমহিমন্ত বিশ্বশর্মা। দুর্গত মানুষের কাছে যাতে খাদ্য সামগ্রী ও জল পৌঁছায় তার দ্রুত ব্যবস্থা করতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।

প্রয়োজনমতো ত্রিপলসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া কঠিন। ইতিমধ্যেই অসমের ৩০ টি জেলা বন্যা কবলিত। বন্যা পরিস্থিতিতে দিশেহারা অবস্থা লখিমপুর, দ্বারদাং, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, কাছাড়, নরিবাগাঁও, জোড়হাট, মাজুলি, শিবসাগর, সোনিতপুর সহ রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসম রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বহু দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জন্য ত্রান শিবিরের আয়োজন করেছে রাজ্য প্রশাসন।

তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। অভিযোগ দুর্গত এলাকায় সঠিকভাবে খাদ্য পৌঁছাচ্ছে না। পৌঁছাচ্ছে না পানীয় জল। দুর্গম এলাকা গুলিতে বহু মানুষ আটকে থাকলেও দ্রুততার সঙ্গে তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে মাঠের ফসল। গবাদি পশু মারা গিয়েছে। বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে। খোলা আকাশের নিচে লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাত কাটাতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস জানান দিচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটতে সময় লাগবে। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, দুর্যোগের কারণে উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

Related Articles