বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে চোখ খুলে দিল দিল্লি হাইকোর্ট, আর কী কী বলল জানেন ?
The Delhi High Court opened its eyes on divorce, and you know what it said?

The Truth Of Bengal : বর্তমান সমাজে প্রায়শই মহিলাদের সংসার ছেড়ে নতুন সংসার তৈরি করা অন্যত্র একাকী থাকার প্রবণতা বাড়ছে।চিন্তায় পড়ছেন সমাজবিদরা। প্রশ্ন উঠছে,সামাজিক বন্ধনের সনাতন ঐতিহ্য কী অটুট থাকছে না ? কেন চিড় ধরছে সম্পর্কে ? কোথায় গলদ থাকছে এই সম্পর্কের মূলে ? জানা গেছে, এক দম্পতি,১৯৯২সালে সংসার পাতেন।কিন্তু মনমালি্ন্য হওয়ায় ২০১৭তে সেই দম্পতি আদালতে চলে যান।ডিভোর্স চেয়ে বসেন মহিলার স্বামী।
২০২২এ পারিবার সম্পর্কিত একটি আদালত তাঁদের সেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা খারিজ করে দেয়।তখন সেই দম্পতি দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।মামলাকারী স্বামী অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী খেয়ালী।তাঁর মায়ের প্রতি অর্থাত্ শাশুড়ির কোনও যত্ন নেন না।এমনকি নিষ্ঠুর আচরণও করে বসেন।দিনের পর দিন অবহেলিত থাকেন আবেদনকারীর মা।এমনকি অনেক অনুষ্ঠানেও তাঁর স্ত্রী তাঁকে সঙ্গ দেননি বলে অভিযোগ।এমনকি ২০১১তে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর স্ত্রী তাঁর হাতে রাখি বাঁধতে যান বলেও দাবি করেছেন মহিলার ক্ষুব্ধ স্বামী।এর জবাবে মহিলা পাল্টা অভিযোগ করেন,দিনের পর দিন তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবার তাঁর ওপর নির্যাতন করেছে। এই অবস্থায় রাজস্থান হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেছে, কোনও ত্রুটি ছাড়া স্ত্রীর স্বামীর সঙ্গ ত্যাগ বা সংসার ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা একটি মানসিক নিষ্ঠুরতা। বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইট ও নীনা বনসাল কৃ্ষ্ণার ডিভিসন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে গৃহবধূ যে শ্বশুরবাড়ির ওপর ক্ষিপ্ত তাও এই তথ্য থেকে উঠে আসছে।তবে বৈবাহিক সম্পর্কে দাঁড়ি টানা বেশ মানসিক যন্ত্রণার। বিশেষ করে কুড়ি বছর ধরে সংসার করার পর এই বিচ্ছেদের ভাবনা নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আদালত সাফ জানায়, আবেদনকারীর স্ত্রীও যে মানসিকভাবে অসন্তুষ্ট তা পরি্স্কার।
সম্পর্কের শিকড়ের এই বিপরীত আচরণ বা দূরত্বের মাঝে দড়ি টানাটানি সমাজে কালো ছায়া ফেলছে বলেও আইনজীবীদের অভিমত। এই অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদের মতো সামাজিক বাঁধন কে ছিন্ন করার প্রক্রিয়া যে ভেবে চিন্তে নেওয়া দরকার তাও আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে। বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইট ও নীনা বানসল কৃষ্ণার ডিভিসন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন ১৯৫৫সালের হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী,স্বামী পরিত্যাক্তাকে ডিভোর্স দেওয়া সত্যিই বেদনার। কিন্তু যেহেতু গৃহবধূ কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি মেটাতে আলোচনার পথে যাননি বা পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে মিটমাটের চেষ্টা করেননি তাই বিবাহ বিচ্ছেদের মতো চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।