দেশ

সাইবার হানার স্বীকার ছাত্রীর পরিবার, তদন্তে নামল কীর্ণাহার থানা

Student's family admits to cyber attack, Kirnahar police station launches investigation

Truth of Bengal: দিন দিন বেড়েই চলেছে নতুন নতুন পদ্ধতিতে সাইবার প্রতারণা। পুলিশের তরফে সতর্ক করা হলেও প্রতারকরা নতুন পদ্ধতিতে সাইবার প্রতারণা করেই চলেছে। আর তার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবার উঠে এল বেঙ্গালুরুর একটি ঘটনা। এমবিএ ছাত্রীকে অবৈধ কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ দেখিয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করা হল। বেঙ্গালুরুর ওই এমবিএ পাঠরত ছাত্রী আদতে বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারকে পরিবারকে ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। সাইবার প্রতারণার জন্য বিচারে দ্বারস্থ হয়েছে ছাত্রীর পরিবার।

বীরভূমের কীর্ণাহার থানার করেয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্ন্যাসী রায়ের ভাগ্নি রাহি পান এমবিএ পড়ার জন্য বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। বেঙ্গালুরু পুলিশের পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারকে ফোনে বলা হয়, সে ড্রাগস ও রেপ কেসে যুক্ত রয়েছে। এরপর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, এমবিএ পড়ার জন্য রাহি পান দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করছেন। তাঁর পরিবারের কাছে গত শনিবার ফোন আসে, যেখানে বেঙ্গালুরু পুলিশের পরিচয় দিয়ে বলা হয়, ড্রাগস ও রেপ কেসে যুক্ত থাকায় একটি হোটেল থেকে রাহি পান-সহ তাঁর ৪ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার পর তারা জানায় ছাত্রীকে ছাড়তে হলে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরিবার এরপর ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, ছাত্রীর কান্না ভেজা গলা শোনা যায়। তখনই প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেয় ছাত্রীর পরিবার। তাঁরা বিশ্বাস করে ফেলেন এটি। তারপর ইউপিআই-এর মাধ্যমে প্রথমে ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয় ছাত্রীর পরিবার।

এরপর, প্রতারকরা ফের ফোন করে বলে, ছাত্রীর নাম অনলাইনে রেজিস্টার হয়ে যাওয়ার কারণে, সেই নাম সরাতে ফের ৪৫ হাজার টাকা লাগবে। ছাত্রীর পরিবার বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে ফের ৪৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর পরিবার যোগাযোগ করলে জানা যায়, নিজের রুমে তিনি সুরক্ষিতই রয়েছেন। তখন ছাত্রীর পরিবার বুঝতে পারে তাদের সঙ্গে সাইবার প্রতারণা হয়েছে। তড়িঘড়ি ছুটে এসে কীর্ণাহার থানায় ও সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Related Articles