
The Truth of Bengal: রবিবার সাত সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কেরলের এর্নাকুলামে। একটি কনভেনশন সেন্টারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। ৩৬ জনের বেশি জখম হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকায় পৌঁছেছেন এনআইএ-এর চার সদস্যের একটি দল। বিস্ফোরণের সঙ্গে নাশকতার সম্পর্ক আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর্নাকুলাম শহরের কালামাসেরি এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে গত তিন দিন ধরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। রবিবার প্রার্থনার মাঝে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে তখন প্রায় ২ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠায় ছড়ায় তীব্র আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এই বিস্ফোরণের পেছনে নাশকতার ছক থাকতে পারে। তদন্ত করে দেখছে বম্ব স্কোয়াড ও ফরেনসিক টিম। পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের ব্যবধানে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। কেরলের শিল্পমন্ত্রী পি রাজীব জানিয়েছেন, বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ ও দমকল বাহিনী উদ্ধারকাজ চালায়। জখমদের কয়েকজন অবস্থা গুরুতর। তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে কারা এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি মন্ত্রী।ঘটনার পেছনে নাশকতা ঠাকতে পারে বলে মনে হওয়ায় এই বিস্ফোরণ যথেষ্ট উদ্বেগের। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় এইরকম বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই একই কায়দায় কেরলের এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের কারণ স্পষ্ট হয়নি। কোনও সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার পর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসন খতিয়ে দেখছে এই বিস্ফোরণের পেছনে কে বা কারা আছে।
Free Access