
Truth Of Bengal : মৌ বসু : এ এমন হাতি যা কান নাড়াতে পারে, শূঁড় দোলাতে পারে। জলকেলি করার সময় শূঁড় দিয়ে ফোয়ারার মতো জল ছেটাতেও পারে। তবে এ হাতির দেহে কোনো প্রাণ নেই। অবিকল আসল গজাননের মতো দেখতেই রোবট হাতি এবার ব্যবহার করা হবে সুদূর কেরালার ত্রিচুরের মন্দিরে।
কেরালার মতো দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যের মন্দিরেই হাতিকে ব্যবহার করা হয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে। দীর্ঘ সময় ধরে পায়ে শেকল পরিয়ে রাখা হয়। এর জন্য বহুদিন ধরে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কৃত্রিম রোবট হাতি ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। কেরালার ত্রিচুরের চক্কামপরম্বু ভগবতী মন্দিরে এবার ফাইবার গ্লাস ও রবারের তৈরি রোবট হাতি ব্যবহার করা হবে। রোবট হাতি দান করেছে ভয়েজ ফর এশিয়ান এলিফ্যান্টস সোসাইটি নামক সংস্থা।
কেরালার ওই মন্দিরের প্রাক্তন আধিকারিক সি জি প্রকাশ জানান, ‘অনেক মন্দিরে শেকল পরিয়ে প্রচুর আলোর মধ্যে বন্দি করে রাখা হয় হাতিদের। তাতে অনেক সময় বন্য প্রাণী ক্ষেপে যায়। প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। হাতি বন্য প্রাণী। জঙ্গলে থাকার কথা হাতির। কিন্তু আমরা হাতিকে বন্দি অবস্থায় রেখে অত্যাচার করি। যা একেবারে অনৈতিক। তাই রোবট হাতি আচার অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা উচিত। ‘