‘RIP বেঙ্গালুরু টেক সিন’: কর্ণাটক মন্ত্রিসভা চাকরির কোটা সংক্রান্ত বিলে অনুমোদন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শিল্পজগত
'RIP Bengaluru tech scene': Karnataka cabinet approves job quota bill, angers industry

The Truth Of Bengal: কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকারের নয়া বিল ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিতর্ক বাড়িয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ঘিরে। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি শিল্পে কম-গ্রেডের (গ্রুপ ‘সি এবং ডি’) পদের জন্য ১০০ শতাংশ কন্নড় নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা সোমবার একটি বিলে অনুমোদন দিয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বিভিন্ন মহলের তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বিশেষ করে শিল্প মহলে।
কর্নাটকের বেসরকারি শিল্পের মৃত্যুর ঘন্টা বাজবে এই নীতির ফলে। এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর কর্তারা। এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হতেই সামাজিক মাধ্যম থেকে পোস্টটি প্রত্যাহার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার বেসরকারি কোম্পানিতে স্থানীয় কন্নড়দের জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্য নিয়েছে। বিল অনুযায়ী কর্নাটকে বেসরকারি চাকরিতে ম্যানেজমেন্ট পদে অন্তত ৫০% কর্মীই কর্নাটকের বাসিন্দা হতে হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। পাশাপাশি অন্যান্য পদে অন্তত ৭০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে সেই রাজ্যের মানুষের জন্য। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। জানা গিয়েছে, এই বিল এখনই পাশ হচ্ছে না। রাজ্য বিধানসভায় পেশ করার আগে সরকার বিলটি পুনর্বিবেচনা করবে।
This comment from a BLR founder becomes the fastest comment to reach 200 likes pic.twitter.com/aNqCH1NLyo
— Saumil Heard It (@OnTheGrapevine) July 17, 2024
বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভায়শিল্প, কারখানা এবং অন্যান্য সংস্থান বিল, ২০২৪-এ স্থানীয় প্রার্থীদের কর্নাটক রাজ্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা হতে পারে।প্রযুক্তির শহর হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু। শুধু কর্নাটকের বাসিন্দারা নন, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের তথ্যপ্রযুক্তির এক্সপার্টরা কর্মরত রয়েছেন এই প্রযুক্তি হবে। গোটা বিশ্বে প্রযুক্তি হাব হিসেবে বেঙ্গালুর আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি আইটি সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার যুবক যুবতী। কর্ণাটক সরকারের এই নয়া বিল এই শিল্পকে ধ্বংস করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বহু আইটি কর্তা। তাদের মতে এ ধরনের বিল পাস হলে বেঙ্গালুর আইটি হাবের মৃত্যু ঘটবে।কর্ণাটক সরকারের নতুন খসড়া বিল সে রাজ্যের বেসরকারি শিল্পের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন শিল্প সংস্থার কর্মকর্তারা। তাদের মতে শুধু রাজ্যের বাসিন্দাদের কাজে নিতে বাধ্য করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিল্প। যোগ্য কাজের মানুষ মিলবে না অযোগ্যদের দিয়ে কাজ করালে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে সেই শিল্প সংস্থাকে।বিভিন্ন আইটি সেন্টারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের সংখ্যা কমছে। এরপর যদি কর্ণাটক সরকারের এই নয়া বিল কার্যকরী হয় তাহলে যোগ্য কর্মী মিলবে না। বিভিন্ন শিল্প সংস্থার কর্মকর্তারা কর্ণাটক সরকারের এ ধরনের তুঘলগি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।