
The Truth of Bengal: ভারত জোড়ো যাত্রার পর ফের পথে নামছে কংগ্রেস। এবার দুমাস ব্যাপী চলবে ভারত ন্যায় যাত্রা। নেতৃত্বে রাহুল গান্ধী। উত্তর-পূর্ব ভারতের মনিপুর থেকে শুরু হবে এই যাত্রা ৬ হাজার কুড়ি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কুড়ি মার্চ মুম্বাইয়ে শেষ হবে যাত্রা। রামমন্দির উদ্বোধনের একসপ্তাহ আগে, আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে তার সূচনা করবেন রাহুল। দু’মাসব্যাপী এই যাত্রায় ছুঁয়ে যাবেন বিরোধীশাসিত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার সহ মোট ১৩টি রাজ্য। বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হবেন রাহুল।
কেন্দ্রের বঞ্চনার শীর্ষে রয়েছে বাংলা। আর সেই প্রতিবাদে রাহুল পাশে চান স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভারত জোড়ো যাত্রায় কংগ্রেস একা নেতৃত্ব দিলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিজেপিকে সরাতে জোটবদ্ধ হয়েছে ইন্ডিয়া। কেন্দ্রের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এজেন্সির অপব্যবহার সহ একাধিক ইসু কে সামনে রেখে, ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির শাসিত রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে এই ভারত ন্যায় যাত্রা। ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’র এই পর্বে বঞ্চিত সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরীক লড়াকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেতে চাইছেন স্বয়ং রাহুল।
বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’য় গতবারের মতো আর পুরো পথ হেঁটে হবে না। সিংহভাগ বাস যাত্রা, সঙ্গে কিছু অংশে পদযাত্রা। যাত্রাপথে পড়বে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি অংশ। এআইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের বরপেটা-বঙ্গাইগাঁও হয়ে রাহুল পৌঁছবেন বিহারের ঠাকুরগঞ্জ। মাঝপথে ছুঁয়ে যাবেন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। জোট বদ্ধ লড়াইয়ে রাহুলের আহবানে সাড়া দেন কিনা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকেই তাকিয়ে এখন রাজনৈতিক মহল।