
The Truth of Bengal: পদ্মভূষণে সম্মানিত মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলা তথা ভারতীয় ছবির জগতে তাঁর বিরাট অবদান। শুধু অভিনেতা হিসেবেই নয়, অফস্ক্রিনও ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। এবার পদ্মভূষণে সম্মানিত পাবেন মহাগুরু। পদ্মশ্রীতে নজর কাড়লো বাংলাও। প্রতিবারই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের পদ্ম সম্মানে ভূষিত করে কেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী। বৃহস্পতিবার চলতি বছরের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়়াও বাংলার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ঊষা উথুপও।
সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মবিভূষণে ভূষিত করা হবে পাঁচজনকে। এরা হলেন দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবী, বেঙ্কাইয়া নাইডু, তামিলনাড়ুর বিজয়ন্তীমালা, পদ্ম সুব্রহ্মনিয়ম এবং বিহারের সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক (মরণোত্তর)। পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপক ৩৪ জনের মধ্যে রয়েছেন চার জন বাঙালিও। এরা হলেন পুরুলিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাজি, বীরভূমের ভাদু শিল্পী রতন কাহার, কলকাতার মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল এবং পুরুলিয়ার ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপালচন্দ্র সূত্রধর। দেশের মোট ১৭ জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিকের সম্মান। যার পোশাকি নাম পদ্মভূষণ।
সেই তালিকায় মিঠুন, ঊষা উথুপ ছা্ড়াও রয়েছেন গুজরাতের চিকিৎসক তেজস মধুসূদন পটেল, কেরলের ওলানচেরি রাজাগোপাল, মহারাষ্ট্রের দত্তত্রয় অম্বদাস মায়ালু ওরফে রাজদূত, লাদাখের তোগদান রিনপোচে (মরণোত্তর), মহারাষ্ট্রের পেয়ারেলাল শর্মা, বিহারের চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ ঠাকুর, তামিলনাড়ুর বিজয়কান্ত (মরণোত্তর) এবং মহারাষ্ট্রের কুন্দন ব্যাস, কেরলের এম ফতিমা বিভী (মরণোত্তর), মহারাষ্ট্রের সাহিত্য সাংবাদিক হরমুসজি এন কামা, কর্নাটকের শিল্পপতি সীতারাম জিন্দল, মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক অশ্বিনী বালচাঁদ মেহতা, মহারাষ্ট্রের রাম নায়েক। এছাড়াও তাইওয়ানের বাসিন্দা ফক্সকনের সিইও ইয়ুং লিউকেও এবারে পদ্মভূষণ সম্মান দিচ্ছে কেন্দ্র।