দেশ

সন্ত্রাসী মোকাবিলায় ‘অপারেশন নাদার’, ত্রালে চলছে তীব্র গুলিযুদ্ধ

'Operation Nadar' to counter terrorists, intense gunfight underway in Tral

Truth Of Bengal: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আওয়ান্তিপোরার ত্রাল এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হয় ভারতীয় সেনা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযান। ‘অপারেশন নাদার’ নামে পরিচিত এই অভিযান চলাকালীন সেনাবাহিনী সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং চ্যালেঞ্জ জানাতেই সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তীব্র গুলিযুদ্ধ, যা এখনও অব্যাহত।

ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, “১৫ মে ২০২৫ তারিখে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা ইনপুটের ভিত্তিতে, ভারতীয় সেনা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর যৌথভাবে নাদার, ত্রাল, আওয়ান্তিপোরায় কর্ডন ও সার্চ অপারেশন চালানো হয়। সতর্ক সেনাবাহিনী সন্দেহজনক তৎপরতা লক্ষ্য করে এবং চ্যালেঞ্জ জানালে সন্ত্রাসীরা ভারী গুলি চালায়। ফলে এক তীব্র গুলিযুদ্ধের শুরু হয়। এখনও চলছে অভিযান।”

সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরজুড়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। ওই হামলার দায় নিয়েছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF), যাকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। TRF-কে পাকিস্তান-ভিত্তিক এবং রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার অংশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

এর আগে ১৩ মে শোপিয়ান জেলার কেলার বনাঞ্চলে ভারতীয় সেনা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে এনকাউন্টারের পর তিনজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে নিধন করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন LeT/TRF-এর স্থানীয় কমান্ডারও।
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, অভিযানে একে সিরিজের রাইফেল, প্রচুর গুলি, গ্রেনেড এবং যুদ্ধের মতো নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিষয়ে ভারতীয় সেনার অতিরিক্ত জনসংযোগ দফতর (ADG PI) এক্স-এ পোস্ট করে লেখে, “গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী শোপিয়ানের কেলার ফরেস্টে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর, ভারতীয় সেনা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ অভিযানে তিনজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে খতম করা হয়েছে।”

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পরেই এই অভিযান

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়ে প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসীকে খতম করে। এই হামলায় ধ্বংস হয় জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর বাহাওয়ালপুর ও লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মুরিদকে-সহ একাধিক মূল ঘাঁটি।

ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক সফল অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে কিছুটা ভাটা পড়লেও TRF-সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন এখনও সক্রিয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, চলমান অভিযানগুলি ওই সংগঠনগুলির উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করছে এবং সামগ্রিকভাবে অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করছে।

Related Articles