১ এপ্রিল থেকে কার্যকর আয়কর ব্যবস্থার নয়া নিয়ম, জেনে নিন সংশোধিত ট্যাক্স স্ল্যাব
Income Tax rules applicable from April 1

The Truth of Bengal: ১ এপ্রিল থেকে নয়া আয়কর নিয়ম প্রযোজ্য, নতুন কর ব্যবস্থা ডিফল্ট বিকল্পে পরিণত হবে। নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার পরই ভারতের আয়কর নিয়মে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে। কর ব্যবস্থাকে সহজ করা এবং করদাতাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।
১ এপ্রিল থেকে সরকার ডিফল্ট সেটিং হিসাবে নতুন কর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে। এর অর্থ হল, যদি করদাতা পুরানো কর কাঠামো মেনে চলতে পছন্দ না করেন, এই নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী কর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যায়ন এবং প্রয়োগ করা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর শেষ বাজেটে বক্তৃতায় ঘোষণা করেছিলেন, যখন নতুন কর ব্যবস্থা ডিফল্ট হবে, করদাতারা পুরানোটি বেছে নিতে পারেন। শেষ বাজেটে অর্থমন্ত্রী কর ব্যবস্থায় ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন। যদি কেউ ব্যক্তি নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেন, তা হলে তাঁকে বার্ষিক ৭ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কোন কর দিতে হবে না।
নতুন কর ব্যবস্থায় প্রযোজ্য সংশোধিত ট্যাক্স স্ল্যাব।
মোট আয়:
৩,০০,০০০ পর্যন্ত: ০ শতাংশ
৩,০০,০০১ থেকে ৬,০০,০০০— ৫ শতাংশ
৬,০০,০০১ থেকে ৯,০০,০০০— ১০ শতাংশ
৯,০০,০০১ থেকে ১২,০০,০০০– ১৫ শতাংশ
১২,০০,০০১ থেকে ১৫,০০,০০০: ২০ শতাংশ
১৫,০০,০০০ এর ওপরে— ৩০ শতাংশ
নতুন কর ব্যবস্থার সুবিধা:
নতুন কর ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করদাতাদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করবে
সরলীকৃত কর পরিকল্পনা:
- করদাতাদের আর ভ্রমণের টিকিট এবং ভাড়ার রসিদের রেকর্ড বজায় রাখতে হবে না।
- পরিবর্তনের লক্ষ্য ট্যাক্স পরিকল্পনাকে সহজ করা।
বর্ধিত মৌলিক ছাড়ের সীমা:
- মৌলিক ছাড়ের সীমা 2.৫ লাখ থেকে ৩ লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
সারচার্জ হার হ্রাস:
- যাদের আয় ৫ কোটির বেশি তাদের জন্য সারচার্জের হার ৩৭ শতাংশথেকে কমে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে৷
- এই সারচার্জের হার শুধুমাত্র তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নেবেন।
রিবেট সীমা বৃদ্ধি:
- নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে ছাড়ের সীমাসীমা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭ লাখ পর্যন্ত আয়ের জন্য প্রযোজ্য ছাড়ের সীমা এখন ২৫ হাজার।
অপরিবর্তিত আয়কর স্ল্যাব
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করার সময় বলেছিলেন যে, করের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হবে না এবং আমদানি শুল্ক-সহ একই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের হার বজায় রাখা হবে।