দুর্গত ১৬ লক্ষের বেশি মানুষ, অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ
More than 16 lakh people affected Flood situation in Assam is dire

The Truth of Bengal: অসমে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত কয়েকদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-এর কাছাকাছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লক্ষের বেশি মানুষ। দুর্গত এলাকায় সরকারি পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ।
অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। একদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে দুর্গত মানুষের সংখ্যাও হুহু করে বাড়ছে। অসময়ে এই ভয়াবহ বন্যায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অসমের বিভিন্ন জেলায় মোট ৮ জন মারা যান। আরও অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যের অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সেখানকার আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া কঠিন। ইতিমধ্যেই অসমের ২৩ টি জেলা বন্যা কবলিত। বন্যা পরিস্থিতিতে দিশেহারা অবস্থা লখিমপুর, দ্বারদাং, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, কাছাড়, নরিবাগাঁও, জোড়হাট, মাদুলি, শিবসাগর, সোনিতপুর সহ রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসাম রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বহু দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জন্য ট্রান শিবিরের আয়োজন করেছে রাজ্য প্রশাসন।
তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুব প্রকাশ করেছে সে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। অভিযোগ দুর্গত এলাকায় সঠিকভাবে খাদ্য পৌঁছাচ্ছে না। পৌঁছাচ্ছে না পানীয় জল। দুর্গম এলাকা গুলিতে বহু মানুষ আটকে থাকলেও দ্রুততার সঙ্গে তাদের উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে মাঠের ফসল। গবাদি পশু মারা গিয়েছে। বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে। খোলা আকাশের নিচে লক্ষ লক্ষ মানুষকে রাত কাটাতে হচ্ছে। ১৬ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। এইসব মানুষদের কাছে যথাযথ সরকারি সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস জানান দিচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটতে সময় লাগবে। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, দুর্যোগের কারণে উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।