
The Truth of Bengal: ফের জ্বলছে মণিপুর। আবারও গুলি-গ্রেনেডে তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্য। বুধবার মোরেতে পুলিশের দুই কমান্ডোর পর এবার হিংসার বলি সাত নাগরিক। জোড়া হামলার জেরে ফের জেরবার মণিপুর। বিষ্ণপুরে দুষ্কৃতীহানায় মৃত চার। আততায়ীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অন্যদিকে কাংপকপি জেলাতেও রক্তারক্তি। রাস্তাতেই উদ্ধার স্থানীয় বাসিন্দার দেহ। জঙ্গি মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছে আসাম রাইফেলস। রয়েছে গোর্খা রেজিমেন্ট, বিএসএফ, স্পেশাল কমান্ডো বাহিনী, রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান। জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করছে মণিপুর রাইফেলসও।
মণিপুরে দুটি পৃথক ঘটনায় অজ্ঞাত আততায়ীদের হাতে সাত সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মনিপুর পুলিশ। পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার নিংথোখং খা খুনউতে অজানা সশস্ত্র আততায়ীদের হাতে চারজন নাগরিক এবং কাংপোকপি জেলার কাংচুপ চিংখং-এ একজনকে হত্যা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে বিষ্ণুপুর জেলায় নিহত চার সাধারণ নাগরিকের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মৃতরা হলেন ওইনাম বামনজাও সিং, তাঁর ছেলে ওইনম মনিতোম্বা সিং , থিয়াম সোমেন্দ্রো সিং এবং নিংথৌজাম নবদ্বীপ সিং৷
অন্যদিকে কাংপোকপিতে নিহত নাগরিকের নাম তাখেল্লাম্বাম মনোরঞ্জন, তিনি থিয়াম কনজিনের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, কাংচুপ চিংখংয়ের কাছে বাঙ্কার হিলস থেকে মনোরঞ্জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ে সন্দেহভাজনভাবে তিনি নিহত হয়েছেন, বলে দাবি পুলিশের। বুধবার রাতে, থাউবাল জেলার খাঙ্গাবোকে একটি জনতা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।