
The Truth of Bengal: সংসদে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায়, একর পর এক চাপ বাড়াতে শুরু করল বিজেপি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, মহুয়া সম্পর্কে দলের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই, সাংসদকে নিজের লড়াই নিজেকেই করতে হবে। এর পরেই পাল্টা তোপ দাগা শুরু করল বিজেপি। দলের নেতা শাহজাদা পুনাওয়ালা এক্স প্লাটফর্মে প্রশ্ন তুলেছে, মহুয়াকে দল থেকে বহিষ্কার কেন করা হচ্ছে না?
সপ্তাহ খানেক আগে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ এনেছিলেন, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অর্থের বিনিময়ে এক শিল্পপতির স্বার্থে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন। যা সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ। এই অভিযোগ ওঠার পরেই, এক্স প্লাটফর্মে পাল্টা তোপ দেগেছিলেন মহুয়া মৈত্র। ফেক সার্টিফিকেটধারী বলে নিশিকান্তকে শুধু আক্রমণ শানাননি, তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, তারও তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। এর পর থেকে একের পর এক আরোপ প্রত্যারোপ চলছিল। কিন্তু নিশিকান্তের এরই মাঝে আরও একটি মারাত্মক অভিযোগ আনেন, সাংসদ মহুয়া মৈত্র ওই শিল্পপতিকে সংসদের নিজের লগইন পাসওয়ার্ডও দিয়েছিলেন। বিষয়টি এথিক্স কমিটির কাছে পাঠানো হয় তদন্তের জন্য। তারপর থেকেই, মহুয়াকে পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি, তৃণমূল নেতৃত্বকে। বরং জানিয়ে দেওয়া হয়, মহুয়া প্রসঙ্গে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
ইতিমধ্যে বিজেপি সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকপালের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে। তাঁর দাবি, মহুয়া যখন ভারতে ছিল, সেই সময়ই দুবাই থেকে তাঁর লগ ইন পাসওয়ার্ড ব্যবহার হয়েছে। আর এই তথ্য ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টারের কাছে রয়েছে। তারপর থেকে কিছুটা ব্যাকফুটে মহুয়া। তবে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার পর থেকেই, বিজেপি আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে।
বিজেপি নেতা শাহজাদ পুনাওয়ালা এক্সপ্লাটফর্মে প্রশ্ন তুলেছেন। মহুয়া যে গুরুতর আইন লঙ্ঘন করেছেন, তা কি তৃণমূল স্বীকার করছেন? যদি তা মনে করে থাকেন, তাহলে মহুয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না কেন?
প্রসঙ্গত গতকালই এক্স প্লাটফর্মে লিখেছেন, আমার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি করতে আসতে পারে বলে শুনেছি। আমি দুর্গাপুজো নিয়ে ব্যস্ত। আমি সিবিআইকে আমার বাড়িতে আসার ও জুতো গোনার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। কিন্তু তার আগে ১৩,০০০ কোটির কয়লার টাকা যেটা আদানি ভারতীয়দের কাছ থেকে নিয়েছেন সেটা নিয়ে আগে একটা এফআইআর করুন।