প্রতিটি স্কুলে ছাত্রীদের সুরক্ষার জন্য ‘প্যানিক বোতাম’ চাইছেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী
Maharashtra Education Minister wants 'panic button' in every school to protect girl students

Truth Of Bengal: বদলাপুরে দুই নার্সারী শিশুকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা মহারাষ্ট্র। এই ঘটনার পরই নড়ে চড়ে বসল মহারাষ্ট্র সরকার। প্রতিটি স্কুলে এবং হোস্টেলগুলিতে ‘প্যানিক বোতাম’ বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকরের। তিনি বলেন, “ঠিক যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, তেমনই প্যানিক বোতামও বসানো যেতে পারে স্কুলগুলিতে। হস্টেলেও এই প্যানিক বোতাম বসানো যেতে পারে। এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি।”
তিনি আরও বলেন “ প্যানিক বোতাম যে শ্রেণিকক্ষেই বসাতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তা, সেখানেই বসানো হোক। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, স্কুলের শৌচালয়ে ও হস্টেলে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। কোন কোন জায়গায় সুরক্ষিত নয়, সেগুলি চিহ্নিত করতে প্যানিক বোতাম বসানো উচিত।”
উল্লেখ্য গত ১৬ আগস্ট মহারাষ্ট্রের বাদলপুরে একটি স্কুলে দুই নার্সারী শিশুকে যৌন নিগ্রহের খবর সামনে আসে। অভিযোগ স্কুলের ভিতরে এক সাফাই কর্মী ওই দুই শিশুর ওপর যৌন নিগ্রহ করে। এই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় হয় গোটা মহারাষ্ট্র। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার আঁচ এতটায় বাড়ে যে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে বম্বে হাই কোর্ট। আদালত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দল। ওই দুই নির্যাতিতা মা – বাবার বয়ান রেকর্ড করেছেন।
পাশাপাশি অভিযুক্ত স্ত্রীরও বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারী দলের আধিকারিকেরা। বদলাপুরের এই ঘটনায় যখন চাপে পড়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। নানা মহল থেকে প্রশ্ন মহিলা সুরক্ষা নিয়ে। ঠিক সেই সময় মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকরের প্রস্তাব স্কুল ও হস্টেলগুলিতে প্যানিক বোতাম বসানো হোক।