দেশ

নাবালিকাদের গর্ভপাতের পর কী করতে হবে, গাইডলাইন ঠিক করে দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

Madras High Court frames guidelines on handling of foetus after minor girls undergo abortion

The Truth of Bengal : গর্ভপাত বরাবরই বেআইনি কাজ। নাবালিকাদের গর্ভপাত নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নারীর স্বাভাবিক পরিণতি হল মাতৃত্বে। অনেক সময় দেখা যায়, অল্পবয়সীদের মধ্যেও গর্ভধারণের উদাহরণ তৈরি হয়।সেই কারণে আদালতে মামলাও দায়ের হয়। সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে মামলা হয়। সেই মামলার বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি কিছু নীতি নির্ধারণ করার জন্য গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছে,নাবালিকাদের গর্ভপাতের পর কিভাবে এই বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে,সংরক্ষণ করা হবে  বা  গর্ভধারণের নিষ্পত্তি হবে। বিচারপতি এ আনন্দ বেঙ্কটেশ এবং সুন্দর মোহনের ডিভিসন বেঞ্চ তাঁদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছে,গর্ভধারণের যেকোনও পণ্য বা গর্ভপাতের পর ভ্রুণ সবকিছুই ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে,যতদিন না বিচার শেষ হচ্ছে । কোনওভাবেই তা নাবালিকা বা তার পরিবারের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এই বিষয়ে আদালতের কড়া নির্দেশ, গর্ভধারণের সমস্ত পণ্য সঠিকভাবে দেখভাল করতে হবে,মেনে চলতে হবে গাইডলাইন । কারণ অনেকসময় দেখা যায়,নাবালিকার ভ্রুণ সরাসরি ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে চলে যাওয়া হয়,আসলে ভ্রুণের সম্পর্কে জানার জন্য,সেটি ২৪সপ্তাহের কম হলেও এই ঘটনা ঘটে। যদি ভ্রুণের বয়স ২৪সপ্তাহের বেশি হয়,তখন থাই বোন বা উরুর হার কেবল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো যাবে। বাকি অংশ তখন নষ্ট করে ফেলতে হবে। যদি ভ্রুণের বয়স বয়স, ২৪সপ্তাহের কম হয় তাহলে এফএসএল ব্যাখার পর কী করতে হবে ?কোথায়,কীভাবে ভ্রুণ সংরক্ষণ করতে হবেও তার ব্যাখাও দিয়েছে আদালত।সেখানে স্পষ্টতই বলা হয়েছে,যদি,হাসপাতাল, থানা বা আদালতে সংরক্ষণের জায়গা না থাকে,তাহলে  রসায়ানাগারে সংরক্ষিত রাখতে হবে ভ্রুণ। কোনওভাবেই যাতে হাত বদল হয়ে  নাবালিকাদের পরিবারের হাতে এই ধরণের ভ্রুণ না পৌঁছায় তা দেখার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে আদালতের তরফে। ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা এড়িয়ে চলা বাঞ্চনীয়।

এখন দেখে নেব আদালতের গাইডলাইনঃ

১. ভ্রণের বয়স যদি ২৪সপ্তাহের বেশি হয়,তাহলে বিশ্লেষণের জন্য  উরুর হারটি একমাত্র ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো যেতে পারে। বাকি অংশটি পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের অনুমোদিত বায়ো মেডিক্যাল   অপচয়ের বস্তু যেখানে রাখা হয় সেই  জায়গায় নিয়ে গিয়ে নষ্ট করে দিতে হবে।

২.যদি ভ্রুণের বয়স ২৪সপ্তাহের কম হয় তাহলে  সেক্ষেত্রে এফএসএলের কাছে বিশ্লেষণের জন্য সেই নমুনা পাঠানো হতে পারে। যতদিন না আদালতের মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন সেই অংশটি ল্যাবে রাখতে হবে। তারপর সেটিকে নিয়ম-রীতি মেনে ধ্বংস করে দিতে হবে।

৩.কোনও পরিস্থিতিতেই নমুনা কখনই গবেষণার জন্য রাখা যাবে না। বরং আদালতের নির্দেশ মেনে তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে তা পাঠাতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে গবেষণাগারে রাখার পর তা ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এই বিষয়ে তামিলনাড়ু জুড়ে নির্দেশ জারি করা হবে।সেই নির্দেশ সবাইকে মনে চলতে হবে।

মাদ্রাজ হাইকোর্টের সম্পূর্ণ রায় দেখতে লিঙ্কে ক্লিক করুন

আদালত এই গাইডলাইন জারি করেছে,শিশুদের যৌন অপব্যবহার রোখার জন্য দায়ের করা বিদ্যা রেড্ডের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে।তিনি নাবালক শিশুদের যৌন নির্যাতন বন্ধের পক্ষে সওয়াল করেন। রেড্ডি বারবার উল্লেখ করেন উপযুক্ত গাইডলাইন না থাকার জন্য অনেক সময় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং কায়েমী স্বার্থচক্র তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।তাই এই গাইডলাইন বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আশা করা যায়।