পাঁচ বছর পর আবার শুরু হতে চলেছে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা
Kailash-Mansarovar Yatra to resume after 5 years

Truth of Bengal: পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রা। শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ‘‘এই বছর থেকেই সাধারণ মানুষ ফের যাত্রার সুযোগ পাবেন। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’’
২০২০ সালে কোভিড মহামারির কারণে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একই বছর লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। এর পর থেকেই ভারতীয়দের জন্য তিব্বতের কৈলাস ও মানস সরোবরের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়। গত জানুয়ারিতে বেজিংয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর বৈঠকে এই যাত্রা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা মূলত উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস ও সিকিমের নাথু লা পাস দিয়ে চিনের তিব্বত অঞ্চলে প্রবেশ করতেন। এই রুটে তিনটি ধাপ রয়েছে— প্রথমে পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট (১০৮ কিমি), এরপর তাওয়াঘাট থেকে ঘটিয়াবগড় পর্যন্ত ১৯.৫ কিমি পায়ে হেঁটে যেতে হয়। শেষ ধাপে ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্তে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিমি যাত্রা।
২০২০ সালে দ্বিতীয় ধাপের রাস্তা উন্নত করে সেখানে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। ফলে এখন তাওয়াঘাট থেকে সরাসরি গাড়িতেই পৌঁছনো যাবে লিপুলেখ পর্যন্ত।
তবে কালাপানি ও লিপুলেখ এলাকাকে ঘিরে ভারত-নেপালের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত বিতর্ক এখনও রয়েছে। তা সত্ত্বেও, এই যাত্রা আবার চালু হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
অনেকেই বলছেন, এই যাত্রা শুধু তীর্থভ্রমণ নয়, দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের এক নতুন সূচনা।