
The Truth of Bengal: বিতর্কের মাঝেই প্রথমে লোকসভায় পাস হয় ন্যায় সংহিতা বিল। লোকসভার পর প্রায় বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় দণ্ড সংহিতার তিনটি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাস হওয়ার পর তা পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। দ্রুততার সঙ্গেই বিলে স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে ন্যায়সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, সাক্ষ্য আইন কার্যকর হচ্ছে দেশে।
বদল হতে চলেছে ইংরেজ আমলের আইন। সেই সঙ্গে বদলে গেল নামও। এই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন দেওয়ায় ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ বা ভারতীয় দণ্ডবিধি কার্যকরী হল ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। আবার ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ বা ফৌজদারি দণ্ডবিধি কার্যকরী হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ আইনে। ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বা ভারতীয় সাক্ষ্য আইন কার্যকরী হচ্ছে।
সংসদের দুই কক্ষে এই নয়া বিল পাস হওয়ার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স প্লাটফর্মে লেখেন, এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। চলতি বছরেই সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিনে ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই বিলগুলোকে সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে আলোচনার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কমিটির বৈঠকে শাসক-বিরোধী সংঘাতও তুঙ্গে উঠেছিল। এরপর শীতকালীন অধিবেশনে নতুনভাবে বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদের দুই কক্ষেই তা পাশও হয়ে যায়।
Free Access