
The Truth of Bengal: বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে আবহাওয়ার বড় বদল। বৈশাখেই তীব্র গরমে নাজেহাল দেশ তথা রাজ্য। এবার ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে হিমালয় অঞ্চলে থাকা হিমবাহের দ্রুত গলনের ফলে জলস্তর বেড়ে চলেছে। যে কারণে হিমবাহের জলে পুষ্ট হওয়া হ্রদে বেড়ে চলেছে জলের পরিমাণ। যা আগামী দিনে বড়সড় বিপদ আনতে পারে।
দ্রুত গতিতে পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ুর। বারবার পরিবেশ বাঁচাও এর পরামর্শ দেওয়ার পরেও বাস্তুতন্ত্র ধ্বংসের পথে। বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ কারুর কথা তোয়াক্কা না করার ফল যে আগামী দিনে কি হতে চলেছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে মানবজাতি। বলতে গেলে প্রায় প্রত্যেক বছরই উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে দেখা যায় বন্যা, হড়পা বান, মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি। এর মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মতে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে হ্রদের জলস্তর ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর কয়েক বছরে হ্রদের আয়তন বেড়ে যাওয়ার সম্বভাবনা দেড় থেকে দিগুণ। যে কারণে খুব তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসছে বিপদ। ইসরোর তরফ থেকে এই তথ্য সামনে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে কি এবার ঘটবে হ্রদ বিস্ফোরণ?
ইসরোর মতে কেবল ১ টা ২ টো হ্রদ নয় মোট ৬৭৬ টি হ্রদের আয়তন বেড়েছে ইতিমধ্যেই। যার মধ্যে ১৩০ টি অবস্থিত ভারতে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বিশ্ব উস্নায়নের প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরেই হিমালয়ের বরফ গলছে অনবরত। সব কিছুরই শেষ আছে। এইভাবে বরফ গলতে গলতে যদি সব বরফ গলে যায় তাহলে ভেবে দেখেছেন কি হবে? ভাবতে গিয়েও যেন বুকটা আঁতকে উঠছে। ভারতে অবস্থিত ১৩০ টির মধ্যে ৬৫ টি হ্রদ রয়েছে সিন্ধু নদ অববাহিকা অঞ্চলে। ৭ টি রয়েছে গাঙ্গেয় অববাহিকা অঞ্চলে, ৫৮ টি রয়েছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা অঞ্চলে। এই হ্রদ্গুলির উদাহরণ প্রসঙ্গে ইসরোর তরফ থেকে ঘেপাং ঘাট হ্রদের কথা জানানো হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই হ্রদের উচ্চতা ৪০৬৮ মিটার। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই হ্রদের আয়তন বেড়েছে ১৭৮ শতাংশ। গত ৩, ৪ দশক ধরে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে একাধিক ছবি তুলে এ তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই ইসরো এই রিপোর্ট পেশ করেছে।