
Truth Of Bengal: ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কার্তজ ঘোষণা করেছেন, প্যালেস্তাইনের গাজা উপত্যকার বেশির ভাগ অংশে শিগগিরই তাদের সামরিক অভিযান জোরাল ভাবে সম্প্রসারিত করা হবে। ইজরায়েল কার্তজ আরও বলেন, ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা উপত্যকার দক্ষিণে একটি ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এটা রাফা ও খান ইউনিস শহরকে পৃথক করেছে। এরই মধ্যে খান ইউনিস ও আশপাশের এলাকাগুলির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে আকাশপথে হামলার কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যদিও হামাস কোনও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
টানা দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামাসের ওপর আবারও হামলা জোরদার করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে তারা গাজায় আরও বড় এলাকা দখল করেছে। হাজারো গাজাবাসীকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত করেছে। শনিবার ইজরায়েল কার্তজ বলেন, রাফা ও খান ইউনিসের মধ্যবর্তী প্রাক্তন ইহুদি বসতি ‘মোরাগ এক্সিস’ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্পন্ন করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে গাজার খান ইউনিস থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। গাজা উপত্যকার প্রায় এক–পঞ্চমাংশ ভূমিজুড়ে রয়েছে রাফা।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে দেন, শিগগির গাজার আরও বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হামলা জোরদার করবে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। এসব এলাকার যুদ্ধক্ষেত্রগুলো থেকে মানুষদের সরিয়ে নিতে হবে। হামাসকে নির্মূল করা, পণবন্দিদের মুক্ত করে আনা এবং যুদ্ধের অবসানের এটাই শেষ মুহূর্ত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। পণবন্দি করে গাজায় আনা হয় ২৫১ জনকে। ইজরায়েলের সরকারি তথ্য এটা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী, যা এখনও চলছে। নির্বিচার হামলায় উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৩ জন।