এই অঞ্চলে কন্যা সন্তান জন্ম নিলেই মাটিতে পোঁতা হয় ১১১ টি গাছ
In this region, 111 trees are planted when a girl child is born

Truth Of Bengal: এই মর্ডান যুগে গর্ভপাতের বিষয়টি খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। ভারতের সমাজে মহিলা ও পুরুষ একে অপরকে টক্কর দিলেও আজকের যুগে দাঁড়িয়েও বহু জায়গা আছে যেখানে কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার আগেই তাকে অশুভ বলে মেরে দেওয়া হয়।
সরকারি অনুযায়ী এক পরিসংখ্যান বলছে ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে কন্যা ভ্রূণ হত্যার সংখ্যা প্রায় ৯০ লক্ষ এর কাছাকাছি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়েও রাজস্থানের রাজসমন্দ জেলার পিপলান্ত্রি গ্রামের বাসিন্দারা নজিরবিহীন ঘটনা মন ছুঁল সকলের। যার কারণে সুপ্রিম কোর্ট ও সেই কাজের প্রশংসা করতে বাধ্য হল। ঘটনাটি শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।
আসলে রাজস্থানের এই অঞ্চলে কন্যা সন্তান জন্ম নিলেই ১১১ টি চারাগাছ পোঁতার নিয়ম রয়েছে। একে বলা হয় ‘পিপলান্ত্রি মডেলে’। শীর্ষ আদালতে ওঠে এই মডেলের বিষয়। যেখানে বলা হয় এই উদ্যোগ সত্যি গর্বের বিষয়। এই গ্রামে বেশি পরিমাণ মাটি খননের ফলে পরিবেশ বিপন্ন হয়। আর সেই কারণেই এখানে কন্যা সন্তান জন্মানোর পরেই ১১১ টি গাছ লাগানো হয়, তাতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়।
এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষ গাছ লাগানো হয়েছে এইভাবে। এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়ার ফলে কন্যাভ্রুণ হত্যার নিষেধাজ্ঞায় লিঙ্গসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এমনকি এই অঞ্চলে মহিলাদের সংখ্যাও বেড়েছে বহুগুণ। তবে এই ‘পিপলান্ত্রি মডেলে’ শুরু হল কিভাবে? কে শুরু করল এই মডেল। এই সব কিছুর উত্তর পেতে চাইলে ফিরে যেতে হয় একটু পিছনের দিকে।
এই নিয়ম আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগে চালু হয়েছিল, এই নিয়ম চালু করেছিলেন গ্রামের তৎকালীন প্রধান শ্যামসুন্দর পালিওয়াল। ডিহাইড্রেশনের ফলে তার ১৮ বছরের মেয়ে প্রয়াত হয় আর তার স্মৃতিরক্ষায় এই নিয়ম চালু করেন তিনি। আর এই নতুন নিয়ম পরবর্তীতে সকলে গ্রহণ করে স্বাচ্ছন্দে।