দেশ

দেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এইচএমপিভি! রাজ্যে রাজ্যে জারি নির্দেশিকা

HMPV is raising concerns in the country! Guidelines issued by state to state

Truth Of Bengal: চীনে ছড়িয়ে পড়া এইচএমপিভি ভাইরাস এখন থাবা বসাতে শুরু করেছে ভারতেও। বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে আট মাস বয়সী এক শিশুর মধ্যে এই ভাইরাসের প্রথম ধরা পড়ে। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, এটি ভারতে প্রথম HMPV-এর প্রথম কেস। কর্ণাটকে প্রথম এই ভাইরাসের সংক্রমন ধরা পরার পর দিল্লি, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের সরকার এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। সমস্ত রাজ্যের সরকার জনগণকে আতঙ্কের পরিবর্তে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে নির্দেশিকাতে।

এদিকে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক চীনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সঙ্গে আশ্বস্ত করেছে যে, ভারত এই ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এইচএমপিভি একটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ভাইরাস। এটি ঠান্ডা এবং ফ্লুর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে শীতকালে। এই ভাইরাস শিশু ও বয়স্কদের বেশি প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্য পরিষেবার মহাপরিচালক ডঃ অতুল গয়াল বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, এটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতো।

এদিকে তেলেঙ্গানা স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, চীন থেকে আসা এইচএমপিভি রিপোর্টের বিষয়ে রাজ্যে সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে। সঙ্গে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সহযোগিতায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর নাগরিকদের গুজব এড়াতে এবং সতর্কতা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। তেলেঙ্গানায় এইচএমপিভি-র কোনও ঘটনা এখনও সামনে আসেনি।

এ বিষয়ে তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রক কী করবেন আর কী করবেন না সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা নিম্নে রইল-

কী করবেন?

কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ এবং নাক রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন। আপনার হাত ঘন ঘন সাবান এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিন বা অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন এবং ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। জ্বর, কাশি বা হাঁচি হলে জনবহুল এলাকায় যাবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও পুষ্টিকর খাবার খান। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আবশ্যক।

কী করবেন না?

মানুষের সঙ্গে হাত মেলানো এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে থাকবেন না। আপনার চোখ, নাক এবং মুখ ঘন ঘন স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। পাবলিক প্লেসে থুতু ফেলবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।

মহারাষ্ট্র সরকার সতর্কতা জারি করে নাগরিকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সতর্ক বার্তা জানিয়েছে। সঙ্গে জানিয়েছে, সর্দি-কাশি হওয়া ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে, এই ভাইরাসটি বিশ্বের জন্য একটি বড় হুমকি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এর বিপজ্জনকতা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সেখানে এইচএমপিভি-এর কোন ঘটনা এখনও পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিচালক কে. পদ্মাবতী বলেছিলেন, এই ভাইরাসটি কোভিড-19 এর মতো ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রধানত শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে।

Related Articles