
The Truth of Bengal: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট পুরোপুরি সঠিক নয় । শুক্রবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। হিন্ডেনবার্গের তরফে দাবি করা হয়, কারচুপি করে নিজেদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে শেয়ার কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল সেই তদন্ত করছে সেবি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ সেবির ওপরই আস্থা রাখতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। শুক্রবার আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপির মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের মন্তব্য, তদন্তকারী সংস্থাগুলোর উপর আস্থা রাখতে হবে।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে নিউ ইয়র্কের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। ১০০ পাতার ওই রিপোর্ট ঘিরে রীতিমতো ঝড় ওঠে জাতীয় রাজনীতিতে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পরই হুহু করে পড়ে যায় আদানির শেয়ার দর। যা নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি। প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পরই শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো ও বেআইনি লেনদেনের মতো অভিযোগে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেই তদন্ত শুরু করে সেবি। তবে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে না পারায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় ।
এমনকি সেবি-র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শুক্রবার এই সমস্ত মামলারই শুনানি ছিল। যার রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। রাতারাতি ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। হু হু করে কমতে শুরু করেছিল তাঁর সম্পদের পরিমাণ। এই ঘটনায় আদানির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যে। ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ওই রিপোর্ট পেশ করা হয়। তবে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষনে বলা হয়েছে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা হিন্ডেন বার্গের রিপোর্ট পুরোপুরি সঠিক নয়, এমনকি সেবির ওপরই ভরসা রাখার কথা বলা হয়েছে। ফলে আপাতত স্বস্তিতে আদানিগোষ্ঠী।