
The Truth of Bengal: চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা। কুনোর পর ভারতে চিতার দ্বিতীয় ঠিকানা পেতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ। ফেব্রুয়ারিতে সেই গান্ধীসাগর অভয়ারণ্য পরিদর্শনে আসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞরা। কয়েকদিন আগেই একসঙ্গে সাতটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল দুটি চিতা। তার পরেই জানা গেল, ভারতে আরও বেশি চিতা আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেই জন্যই কুনোর পরে বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কুনো জাতীয় উদ্যানের বদলে তাদের রাখা হবে গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যে। পাশাপাশি নৌরাদেহী অভয়ারণ্যও চিতাদের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রস্তুতি শেষে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, গান্ধীসাগরের পরিবেশ ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আসছে এই পর্যবেক্ষক দল। পরিবেশ মন্ত্রকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেস্ট এস পি যাদব আগেই বলেছিলেন, গান্ধীসাগর অভয়ারণ্য উপযুক্ত মনে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চিতা ওখানে রাখা হবে।
কুনোর জাতীয় উদ্যান থেকে সড়কপথে ছ’ঘণ্টার দূরত্বের এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৩৬৮ বর্গ কিলোমিটার। সঙ্গে চারপাশের অতিরিক্ত আরও আড়াই হাজার বর্গ কিমি এলাকা।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মেনে আফ্রিকার একাধিক দেশ থেকে ভারতে চিতা আনা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় কুনোর জঙ্গলে। ২০২৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে। তবে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিতার মৃত্যু হয়েছে।