দেশ

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা, সুইগির মোটা অংকের জরিমানা!

The Truth Of Bengal: সুইগি থেকে গ্রাহকে ১৮৭ টাকা আইসক্রিম ক্রয় করার সত্বেও দেওয়া হয়নি আইসক্রিম তাই এবার বড় রায় শোনালেন আদালত। মোটা টাকা গুনতে হল ‘অনলাইন ফুড ডেলিভারী’ সংস্থাকে। সূত্রের খবর ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসে একজন গ্রাহক অনলাইনে আইসক্রিমের অর্ডার দেন তবে, তাঁর অভিযোগ ছিল এটাই যে দোকান থেকে ডেলিভারী এজেন্ট আইসক্রিমটি সংগ্রহ করলেও তাঁকে দেওয়া হয়নি। যার কারণবশত তিনি ‘সুইগি’-কে বিষয়টি জানান। তবে কোনও সহযোগিতা না পেয়ে শেষমেশ মানবাধিকার কমিশন আদালতের দ্বারস্থ হন বেঙ্গালুরুর ওই বাসিন্দা। শেষমেশ ১৮৭ টাকা ফেরত না দেওয়ায় সংস্থাকে গুনতে হয় ৫০০০ টাকার জরিমানা।

জানা গিয়েছিল যে, ফুড ডেলিভারী এজেন্ট তার অর্ডারটি নিলেও তা পৌঁছান নি। এবং অপেক্ষা করতে থাকলেও আইসক্রিমটি গ্রাহককে না দিয়েই আইসক্রিম টি ডেলিভারী হয়ে গেছে বলে জানায় ‘সুইগি’। এরপর যখন ১৮৭ টাকার আইসক্রিম না পাওয়ার পরেও জানানো হয় যে আইসক্রিমটি তাঁর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ওই এজেন্ট, তখনই সঙ্গে সঙ্গেই ‘অনলাইন ফুড ডেলিভারী সংস্থা’-তে নালিশ করেন ওই মহিলা। তবে তা করলেও তাতে সঠিকভাবে কোনও সাহায্য পাননি তিনি। এবং তাঁকে টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে তিনি বিষয়টিকে মানবাধিকার কমিশনের আদালতে উপস্থাপিত করেন।

এদিনের রায়ে সুইগির তরফ থেকে পাল্টা অভিযোগ নাকোচ করে দেন আদালত এবং বলেন যে, গ্রাহকদের অর্ডার না দেওয়া সত্ত্বেও গ্রাহকের অর্থ ফেরত না দেওয়া একপ্রকার ‘সেবার ঘাটতি’ এবং ‘অন্যায় বাণিজ্য অনুশীলন’। তাছাড়াও এদিন কমিশনার বলেন যে, “অভিযোগকারী প্রমাণ করেছেন ইতিমধ্যেই যে পরিষেবার ঘাটতি রয়েছে কোথাও সঙ্গে অভিযোগকারীর দ্বারা অর্থ প্রদান করার সত্বেও অর্ডারকৃত পণ্য অভিযোগকারীর কাছে পৌঁছনো হয়নি।” তাই সুইগিকে গ্রাহককে রায়ের ফলাফলের স্বরূপ বলা হয় তাঁকে পণ্যের দাম ১৮৭ টাকা সহ ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০০০ টাকা এবং মামলার খরচ হিসাবে ২০০০ টাকার ফেরত দিতে হবে অনলাইন ফুড ডেলিভারী সংস্থা সুইগি’কে।