লিভ-ইন পার্টনারের কটূকথার চাপে আত্মহত্যা নয়ডার প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর
Former IT worker from Noida commits suicide due to pressure from live-in partner

Truth Of Bengal: অতুল সুবাসের অকালমৃত্যু ভারতে ঝড় তুলেছে। এর মাঝে আরও একটি ঘটনা সামনে আসছে। দক্ষিণ ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। বেঙ্গালুরু-র তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর অকালমৃত্যুর পিছনে একাধিক কারণ উঠে আসছে। সেখানে জানা যাচ্ছে,একদিকে কাজ হারানোর যন্ত্রণা আর অন্যদিকে লিভ-ইন পার্টনারের লাগাতার মানসিক চাপ সৃষ্টি।
Noida, Another Male Feminist Engineer (24) ends life due to live-in partners taunts for being jobless. She always used to abuse him by saying “din bhar ghar me baith kr mere paiso ka khate ho koi job kyu nahi krte”?
*He was jobless due to diversity hiring policies of industries. pic.twitter.com/g1R2FWztXg— Moksh Of Men (@mishrag47) December 14, 2024
দুইয়ের যাঁতাকলে পড়ে অতুলের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে বলে জানা যাচ্ছে। গোপনে তাঁকে কঠিন লড়াই লড়তে হয়। নিত্যদিন মন শক্ত করে কঠিনতম লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিলেও তাঁর মন ভেঙে দেয় জীবন সঙ্গী। যন্ত্রণা দীর্ণ জীবনকে তাই নিজেই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি।
সুইসাইড নোটেও মায়াঙ্ক চানদেল লিখেছেন,তিনি অসম্ভব মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন।দিনের পর দিন সেই চাপ সহ্য করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। জালালাবাদের মায়াঙ্ক চানদেলও এই মানসিক চাপের কথা তুলে ধরে আত্মহত্যার ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় একদিকে যেমন তাঁর হাতে পয়সা ছিল না তেমনই আবার জীবন সঙ্গীর নানা সময়ে উত্যক্ত করার ঘটনা তাঁকে প্রতি পদে যন্ত্রণা দেয়। তাই জীবনে দাঁড়ি টেনে মায়াঙ্ক চানদেল নিজেই সরে যান।
মায়াঙ্ক চানেদেলের সঙ্গে বান্দার একটি মহিলার দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। জীবনের অস্থায়ী সঙ্গিনী সঙ্গে নয়ডার সেক্টর ৭৩এ থাকছিল মায়াঙ্ক। গত ৪বছর ধরে তাঁরা একত্র বাস করছিল। তিনি সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন, যে লিভ-ইন পার্টনার তাঁকে কাজ হারানোর পর ধারাবাহিক সমালোচনা করতেন। খোঁচা দিতেন, এমনকি মন ভেঙে দেওয়া নানা কটূকথাও বলতেন।
এমনকি ঘরে বসে বসে খাওয়া-দাওয়া করে আসলে সে আয়েসের জীবন কাটাতো বলেও কটাক্ষ হানতো জীবন সঙ্গিনী। এই চোখ খুলে দেওয়া নানা তথ্যের মাঝেই আরও জানা যাচ্ছে,তাঁর লিভ-ইন পার্টনারই প্রথম দেহ দেখে। সিলিং ফ্যানে দেহ ঝুলতে দেখেন তিনি। তাই এই ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।