দেশ

সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর! কিন্তু কেন?

ED Deputy Director arrested by CBI! But why?

Truth Of Bengal: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ওড়িশার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্তন রঘুবংশীকে সিবিআই গ্রেফতার করল। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র ডেপুটি ডিরেক্টর। এমনই ঘটনা ঘটেছে  ওড়িশায়। শুক্রবার সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ঘুষ নেওয়ার সময় ফাঁদ পেতে রঘুবংশীকে হাতেনাতে ধরা হয়। ২০১৩ ব্যাচের আইআরএস অফিসার রঘুবংশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভুবনেশ্বরের এক খনিশিল্প ব্যবসায়ী রতিকান্ত রাউতের কাছ থেকে মোট ৫ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন।

সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে জানা গেছে, মার্চ মাসে রতিকান্ত রাউতকে ইডি-র ভুবনেশ্বর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। সেখানে ডেপুটি ডিরেক্টর রঘুবংশী তাঁকে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে বলেন, একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে, যার নাম ভগতি। সেই ভগতির মাধ্যমেই নাকি সাহায্য পাওয়া যাবে। এরপর থেকে ভগতি নিয়মিত রতিকান্ত রাউতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে থাকেন, এমনকি ফেসটাইমে ভিডিও কল করে চাপ দেন ঘুষ দেওয়ার জন্য। অভিযোগ, ২৭ মে রাউতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভগতি জানান, মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হলে রঘুবংশীর দাবি অনুযায়ী ৫ কোটি টাকা দিতে হবে।

রাউত এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভগতি রাউতের সঙ্গে রঘুবংশীর সরাসরি কথা করিয়ে দেন। সেই কথোপকথনের সময় রঘুবংশী ঘুষের অঙ্ক কমিয়ে ২ কোটি টাকায় নামিয়ে আনেন। শেষপর্যন্ত প্রথম কিস্তি হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা নেওয়ার সময়েই সিবিআই ফাঁদ পেতে রঘুবংশীকে ধরতে সমর্থ হয়।এই ঘটনায় দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত দফতরে আবারও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই ওই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ইডি-র মতো সংস্থার উচ্চপদস্থ অফিসারের এই কেলেঙ্কারি সামনে আসায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Related Articles