দেশ

মায়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬০০

Earthquake hits Myanmar again, death toll rises to 1,000

Truth Of Bengal: ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে মায়ানমার। মৃতের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। অনেক এলাকায় এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছে বহু মানুষ। যখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে তখন নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হল আবার।

শনিবার ফের কেঁপে ওঠে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এই কম্পনের জেরে চরম আতঙ্ক ছড়ায় মানুষের মধ্যে। আফটার শকের জেরে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক এলাকা। ঘরবাড়ি আরও ভেঙে পড়েছে। ব্যহত হয়েছে উদ্ধারকার্য।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর থেকে উদ্ধারকার্যে নামে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকার্যে হাত লাগায় সেনাবাহিনী। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একের পর এক মৃতদেহ। উদ্ধারকার্য যত এগোচ্ছে সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মায়ানমারে এই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পার হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০০।

মায়ানমার সরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের একাধিক এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প কবলিত মান্দালয়, নেপি দ, সাগাইং, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান প্রদেশ। মায়ানমারের একার পক্ষে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি যে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় তা স্বীকার করে নিয়েছে সে দেশের সামরিক সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছেন দেশের শাসকরা।

বিশ্বের একাধিক দেশ মায়ানমারের এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সহযোগিতা করা হচ্ছে ভারতের পক্ষ থেকেও। এদেশের সরকার সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। শনিবার মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন মায়নমারের সামরিক সরকারের প্রধানের সঙ্গে। টেলিফোনে কথা হয় দু’দেশের প্রধানের মধ্যে।

শুক্রবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মান্দালয়। মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এই মান্দালয়। এই শহরের একাধিক বহুতল ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সেই সব ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। আটকে পড়া মানুষদের মধ্যে কতজন বেঁচে রয়েছেন তা নিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই উদ্ধার কাজ নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।

দুর্গত এলাকাগুলিতে একাধিক বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। মায়ানমারের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এক হাজারের বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জখম হয়েছেনপ্রায় আড়াই হাজার মানুষ। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্গত এলাকাগুলিতেও মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, আবারও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে মায়ানমারে। সেই আশঙ্কা থেকে দেশের অন্যান্য অংশেও সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। এই আশঙ্কায় অনেক মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে।

Related Articles