বাকস্বাধীনতায় বাধা নয়, রক্ষা করাই আদালতের দায়িত্ব: সুপ্রিম কোর্ট
Duty of courts is to protect freedom of speech, not to restrict it: Supreme Court

Truth Of Bengal: বাকস্বাধীনতা দমনের চেষ্টা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়—এমনই কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করে দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানস্বীকৃত অধিকার, এবং আদালতের দায়িত্ব তা রক্ষা করা।
রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি ইনস্টাগ্রামে একটি কবিতা পোস্ট করেছিলেন। এই কবিতার বিরুদ্ধে গুজরাটের জামনগরে এফআইআর দায়ের হয়। তবে বিচারপতি অভয় এস ওকা ও উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এতে অপরাধের কোনও উপাদান নেই। বরং পুলিশের ‘অতি উৎসাহী’ পদক্ষেপই নিন্দনীয়।
সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ এমন সময় এল, যখন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে ‘গদ্দার’ বলার জন্য শিণ্ডে সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর শো চলা মুম্বইয়ের ‘হ্যাবিট্যাট’ স্টুডিওতেও হামলা চালিয়েছে শিণ্ডে সমর্থকরা।
বিচারপতিরা স্পষ্ট বলেছেন, “গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক। বিরোধিতা হোক যুক্তি দিয়ে, দমনপীড়ন দিয়ে নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া সম্মানজনক জীবন সম্ভব নয়। তাই বাকস্বাধীনতা রক্ষা করা আদালতের দায়িত্ব।”
গুজরাট হাই কোর্ট এই এফআইআর খারিজ করতে রাজি হয়নি। তাদের যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন ইমরান। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সংবিধানের ১৯(২) অনুচ্ছেদ কখনোই ১৯(১) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বাকস্বাধীনতার অধিকারের ওপরে যেতে পারে না।
সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ শুধু ইমরান প্রতাপগড়ির মামলার জন্য নয়, বরং গোটা দেশের বাকস্বাধীনতার পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।