
The Truth of Bengal: শুক্রবার শেষ হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ঐতিহাসিক হয়ে রইল। রাজ্যসভা এবং লোকসভার ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একযোগে বিরোধীদের এতজন সাংসদকে সাসপেন্ডের ঘটনা নজিরবিহীন। সংসদকে বিরোধী-শূন্য করার প্রয়াসকে নিন্দা জানাচ্ছেন বিরোধীরা। প্রতিবাদে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ব্যানারে পথে নামলেন বিরোধী সাংসদরা। দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালন করল ‘ইন্ডিয়া’ জোট। উপস্থিত ছিলেন জোট শরিক দলের নেতারা।
এদিন যন্তরমন্তরে ধর্না-মঞ্চ থেকে ফের একবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, সেদিন (২০০১ সালে) সংসদে যখন হামলা হয়, তখন বিজেপি সাংসদদের সাহসের বেলুন চুপসে গিয়েছিল। সবাই ভয়ে পালিয়েছিলেন।‘ এবারের সংসদ হানার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংসদে নিরাপত্তায় গলদ হয়েছে। সেটা একটা সমস্যা। আরও একটা সমস্যা হল, কেন ওই হামলা হল। বিক্ষোভকারীরা আসলে বেকারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল। সরকার ওদের কথা শোনে না।‘
সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে প্রতিবাদে অনড় ছিলেন বিরোধী সাংসদরা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ১৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পুরনো সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। মিছিলে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ দাবি তোলা হয়। শুক্রবার যন্তরমন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালিত হল। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা যেমন ছিলেন, তেমনই ইন্ডিয়া জোটের নেতারা এই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন।