
The Truth of Bengal: গত কয়েক বছর ধরেই দিল্লি সহ উত্তরের রাজ্যগুললির দূষণ পরিস্থিতি গোটা দেশের কাছে চিন্তার কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে। গরমেও কুয়াশা দেখা মিলেছিল। শীতেও সেই ধারা অব্যাহতই রইল। দিল্লিতে আবার কুয়াশার দাপট। বুধবারও ঘন কুয়াশায় মুড়েছে দিল্লি, যার কারণে কয়েক হাত দূরের জিনিসও ঠিকমতো দেখা য়ায় না। শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে সেখানে। ঘনকুয়াশার জেরে প্রায় শূণ্যের কাছে দৃশ্যমান্যতা নেমেছে দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে। যার জেরে রেল, সড়ক, বিমান পরিষেবা ব্যাহত।
রাজধানীর রাস্তায় দেখা গেল তীব্র ট্যাফিক জ্যাম। প্রায় ২৫টির কাছাকাছি ট্রেন দেরিতে চলছে। ১১০ টিরও বেশি বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত। আরও খারাপ পরিস্থিতি রয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির ধাক্কায় একজনের মৃত্যার খবর সামনে এসেছে। কুয়াশার চাদরে মুড়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ। দিল্লিতে সফদরজং-এ দৃশ্যমান্যতা রয়েছে ৫০ মিটার। পাতিয়ালা, লখনউ, প্রয়াগরাজে ২৫-এর নীচে রয়েছে দৃশ্যমান্যতা। অমৃতসরের দৃশ্যমান্যতা ০ পৌঁছয়।
মৌসমভবন সূত্রে খবর, দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঘন থেকে অতিঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার আকাশেরও দেখা মেলে। তীব্র ঠান্ডার কারণে গৃহহীন মানুষদের জন্য দিল্লর বিভিন্ন জায়গায় ব্যবস্থা করা হয়েছে আশ্রয়স্থলের। তবে এই পরিস্থিতিতে মাত্রীতিরিক্ত হয়ে পড়েছে দূষণের হার। দিল্লির আনন্দ বিহারে দূষণের মাত্রা রয়েছে ৪৪১ । লোধি রোডে দূষণের মাত্রা ৩২৭। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে দূষণের মাত্রা ৩৬৮।