
The Truth of Bengal: সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করেছিল ভারতের চন্দ্রযান তিন। তবে একটানা ১৪ দিনের ঘুম তার সম্পন্ন হয়েছে। এবার ঘুম ভাঙার পালা। একটাই ভাবনা যে কবে ঘুম ভাঙবে ল্যান্ডের বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের! এই নিয়ে রীতিমত জল্পনা তুঙ্গে। তবে এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেসাই। তিনি মনে করছেন চাঁদের মাটিতে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙ্গার সম্ভাবনা ৫০ ৫০।
যদি চাঁদের মাটির অসম্ভব ঠান্ডা সহ্য করেও লন্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের যন্ত্রপাতি সচল থাকে, তাদের কর্ম ক্ষমতা থাকে তবে আবার জেগে উঠবে তারা। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকছে তাহলে যদি ঘুম না ভাঙ্গে সেক্ষেত্রে কি হবে? এই বিষয়ে স্পেস এপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ভারতের চন্দ্রযান মিশন ইতিমধ্যেই সফল হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও ইসরো প্রধান ইস সোমনাথ জানিয়েছেন, আবার বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে উঠতে পারবে কিনা সেটা নির্ভর করছে যন্ত্রপাতির কর্মক্ষমতার উপর।
সমস্যা হল, জ্বালানি বেঁচে থাকলেও এর অর্থ এটা নয় যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে। প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে সেই জ্বালানি জমে যেতে পারে। ব্যাটারি কর্মক্ষম অবস্থায় নাও থাকতে পারে। ফলে ঈশ্বরের জন্য মিরাকল হবে যদি বিক্রম ও প্রজ্ঞান আবার জেগে ওঠে। সমগ্র দেশবাসী শুধুমাত্র অপেক্ষা করে রয়েছে যে কবে ইসরোর তরফ থেকে এই সুখবর জানানো হবে। এখন শুধু এটাই দেখার যে কবে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙ্গে।