দেশ

রূপান্তরকামীদের জন্য বড় খবর

Indian Army

The Truth of Bengal: দেশের রূপান্তরকামীদের সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। সশস্ত্র বাহিনীতে তাঁদের কীভাবে  যুক্ত করা হবে, বাহিনীতে তাদের কি ভূমিকা থাকবে, এসব নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। প্রিন্সিপাল পার্সোনাল অফিসার্স কমিটি গত আগস্টে বৈঠকের পর এই বিষয়ে একটি যৌথ স্টাডি গ্রুপ তৈরি করে। সেই স্টাডি গ্রুপের প্রধান করা হয় বাহিনীর মেডিক্যাল বিভাগের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে। সেই গ্রুপকে রূপান্তরকামীদের সুরক্ষা ও অধিকার আইন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কার্যকর করার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

প্রিন্সিপাল পার্সোনেল অফিসার্স কমিটিতে রয়েছেন তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। রূপান্তরকামীদের সেনা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে সেনা বাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল ব্রঞ্চের তরফে ডিরেক্টরেটগুলির থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে। তাঁদের কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, কী ভূমিকা থাকবে সব বিষয় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে ডিরেক্টরেটগুলির থেকে। জানা গিয়েছে, বেশ কতকগুলি ডিরেক্টরেট ইতিমধ্যেই তাদের মতামত দিয়েছে। সেখানে রূপান্তরকামীদের কোনও অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছ। বাহিনীর আধিকারিকদের কঠোর প্রশিক্ষণ, ও নিয়ম পালনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রূপান্তরকামীদের সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করলে তাঁদের বাড়ি ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত দিক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছে একাধিক ডিরেক্টরেট। রূপান্তরকামীদের জীবনসঙ্গীদের কীভাবে সনাক্ত করা হবে, তাঁদের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংস্কৃতি মেলবন্ধন কীভাবে তৈরি হবে এসব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে, ” এই আইন রূপান্তরকামীদের সমান অধিকার দেওয়ার জন্য। সেনা বাহিনীতে নিয়োগ সক্ষমতা ও প্রতিভা ভিত্তিক হয়ে থাকে। যদি রূপান্তরকামীদের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগের দরজা খুলে দেওয়া হয়, তাহলে সেই আইন একইভাবে প্রযোজ্য হবে। ” কেন্দ্রীয় সরকারের আরও দাবি, ” সেনা বাহিনীতে শুধু কর্মসংস্থানের জায়গা নয়। সেখানে অনেক প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে। যেমন, তাঁদের ঘর, শৌচালয় ইত্যাদি। এছাড়াও ফিল্ডে মোতায়েন নিয়েও সমস্যা রয়েছে। ” বর্তমানে দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে কোনও রূপান্তরকামী কর্মী নেই। তবে গত ৩ আগস্ট রাজ্যসভায় রিপোর্ট জমা দিয়েছে আইন ও বিচার বিভাগীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

Free Access

Related Articles