একটাই প্রতীক ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীদের, মমতার ফর্মুলায় উপনির্বাচনে লড়াই
Candidates of One Symbol India Alliance, fight in by-elections on Mamata's formula

Bangla Jago Desk: জোট ধর্ম মেনে যেখানে যার শক্তি বেশি, সেখানে সেই দল লড়াই করুক। ইন্ডিয়া জোট গঠনের সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে এই ফর্মুলা দিয়েছিলেন। তবে সামগ্রিক ভাবে এই ফর্মুলা কার্যকর হয়নি গোটা দেশে। উত্তর প্রদেশে অখিলেশের দলের শক্তি বিবেচনা করে কংগ্রেস অবশ্য সেই ফর্মুলা মানতে বাধ্য হয়েছিল। যাতে ইন্দিয়া জট রুখে দেয় বিজেপিকে। একই ধারা বজায় থাকছে আসন্ন বিধানসভার ৯টি আসনের উপনির্বাচনে। সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা মিলিত ভাবে অখিলেশের দলের প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলেছিল সমাজবাদী পার্টি। একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭টি আসন পায় অখিলেশের দল। সেখানে বিজেপি পায় ৩৩টি আসন। ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারে লড়ে বিরোধীরা দারুণ সফল হয় উত্তর প্রদেশে। তবে বিরোধী জোট এখানে সফল হয়েছিল একটি বিশেষ কারণে। যেটা হল, যেখানে যার শক্তি বেশি সেখানে তাদের লড়ার সুযোগ। এই ফর্মুলায় আসন নিয়ে বেশি দরাদরি না করে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সুষ্ঠু রফায় এসেছিল কংগ্রেস। যার ফল মেলে ভোটে। সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস কার্যত দুরমুশ করে দেয় বিজেপিকে। ইন্ডিয়া জোট গঠনের সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে এই ফর্মুলা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তাদেরকেই জোটের অন্যরা যেন সমর্থন করে। তবে সামগ্রিক ভাবে এই ফর্মুলা কার্যকর হয়নি গোটা দেশে। উত্তর প্রদেশে অখিলেশের দলের শক্তি বিবেচনা করে কংগ্রেস অবশ্য সেই ফর্মুলা মানতে বাধ্য হয়েছিল। যাতে তাদের লাভই হয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৬টি আসন। আগামী ১৩ নভেম্বর হতে চলা এই রাজ্যে বিধানসভার ৯টি আসনে সেই ফর্মুলা মেনে আসন রফা হল। তবে এখানে লক্ষ্যণীয়, বিরোধী জোটের দুটি দল সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা লড়বেন একই প্রতীকে। সমাজবাদী পার্টির সাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়বেন সবাই। সমাজবাদী প্রার্থী দিয়েছে ৬টি আসনে।
বাকি তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের নিরিখে রাজ্যে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে এসেছে সমাজবাদী পার্টি। উপনির্বাচনেও বিজেপিকে পরাস্ত করতে তাই কোমর বেঁধে আসরে নেমেছেন বিরোধী নেতারা। সেই লক্ষ্যে ইন্ডিয়া জোটের লড়াইয়ে একই প্রতীকের ভাবনা। ভোট ভাগাভাগি সুযোগে বিজেপি যাতে কোনও লাভবান না হতে পারে সে লক্ষ্যে উত্তর প্রদেশ এই লড়াই। বিজেপি হারাতে আন্তরিক ভাবনা থেকে উত্তর প্রদেশ যে পথ দেখাচ্ছে, সেই পথ ধরে অন্য রাজ্যে লড়াই হলে বিরোধী শক্তি নিঃসন্দেহে আরও বাড়বে। ভোট ভাগের সুবিধা নিয়ে বিজেপি লাভবান হতে পারবে না।