দেশরাজ্যের খবর

শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা পেল “বাংলা”, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে খুশি বঙ্গবাসী

Bengali people are happy with the status of

Truth Of Bengal: বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা পেল “বাংলা”। তবে শুধু বাংলা না এই মর্যাদা পেয়েছে মারাঠি, অসমীয়া, পালি ও প্রাকৃত ভাষা। কেন্দ্রীয় সরকরের এই সিদ্ধান্তে রীতিমত খুশি বঙ্গবাসী।

শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা পেয়েছে “বাংলা” ভাষা। কিন্তু এই শাস্ত্রীয় ভাষার সুবিধা কী? এছাড়া একটি ভাষা কীভাবে ক্লাসিক্যাল হিসাবে নির্ধারিত হয়? আর এর জন্য মানদণ্ডই বা কি? আসুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা অর্জিত হলে কী হবে?

কেন্দ্রীয় সরকার যখন কোনো ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে, তখন সেই ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আরও তহবিল দেওয়া হয়। তথ্য অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য ২৫০-৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। এর পাশাপাশি ভাষা ভবন স্থাপন, বই ও সাহিত্য প্রচারে সহায়তা, লাইব্রেরি স্থাপন ইত্যাদি অন্যান্য কাজের মাধ্যমে ভাষার প্রসারের জন্য আর্থিক সহায়তাও প্রদান করে থাকে।

ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পাওয়ায় এখন থেকে প্রতিবছর ভাষাবিদদের দুটি জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা অধ্যয়নের জন্য একটি বিশেষ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এছাড়া সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মারাঠি ভাষা শেখার ব্যবস্থাও করা হবে। এমনকি, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর স্টাডিজ প্রতিষ্ঠিত হবে।

শাস্ত্রীয় ভাষার মানদণ্ড কী?

১) ভাষা প্রাচীন ও এর সাহিত্য উন্নত হতে হবে।

২) ভাষার বয়স হতে হবে দেড় থেকে আড়াই হাজার বছর।

৩) ভাষার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।

৪) প্রাচীন ভাষার মূল এবং তার আধুনিক রূপ থাকতে হবে।

৫) যে ভাষাগুলিকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তাদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যথেষ্ট ভর্তুকি পায়।

৬) ভারত সরকার এখন পর্যন্ত তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়ালম, মারাঠি, বাংলা, পালি, প্রাকৃত এবং উরিয়া নামে দশটি ভাষাকে এই মর্যাদা দিয়েছে। এতে এখন যোগ হয়েছে মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া এবং বাংলা ভাষা।

Related Articles